ইসলাম নিয়ে কটুক্তিকারী শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি ওলামা লীগের 

নিউজ নাইন২৪, ঢাকা: সম্ভ্রমহরণের অপরাধে শিক্ষক পরিমলদের শাস্তি হলে, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ায় শিক্ষক শ্যামল কান্তির শাস্তি হবে না কেন- প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগের নেতৃবৃন্দ।

ইসলাম নিয়ে কটুক্তিকারী প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে ‘হিন্দু মৌলবাদী উগ্র সাম্প্রদায়িক’ অ্যাখ্যা দিয়ে ওলামা লীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্বীন ইসলামকে অবমাননাকারী ও মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতদানকারী হিন্দু মৌলবাদী উগ্র সাম্প্রদায়িক শিক্ষক (প্রকৃতপক্ষে শিক্ষক নামের কলঙ্ক) শ্যামল কান্তির ‘কান ধরে উঠবসে’ জাত যাওয়ার গুজব রটনা করছে কিছু ইসলামবিদ্বেষী মহল। এসব কুচক্রী ইসলাম বিদ্বেষী মহলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওলামা লীগ।

ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ইসলামবিদ্বেষী উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক হিন্দু শ্যামল কান্তি’র গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিও জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা এই উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক হিন্দুর পক্ষে সাফাইকারী নাস্তিক শাহবাগীদেরও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

আজ বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের কার্যনির্বাহী সভাপতি হাফেয মাওলানা আব্দুস সাত্তার, সেক্রেটারী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সহ-সভাপতি মুফতী মাসুমবিল্লাহ নাফেয়ী এক যুক্ত বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী মহল গত জুমুয়াবার নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে পবিত্র ‘ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকারী’ উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক হিন্দু শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে কান ধরে উঠবস করানোয় চিহ্নিত ইসলামবিদ্বেষীরা ‘শিক্ষক অবমাননার’ মুখরোচক গুজব রটিয়ে দালালী করতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। অথচ যখন ভিকারুন্নেছা স্কুলের লম্পট শিক্ষক পরিমল ধরা পড়লো, তার বিচার হলো তখন তারা ‘শিক্ষকের অবমাননা হবে’ বলে তার বিচার করা যাবে না- সেটা বলেনি এবং ক্ষোভও দেখায়নি। কিন্তু এবার যেহেতু উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শিক্ষক শ্যামল কান্তি সে পবিত্র ‘ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছে’; সেহেতু তাকে বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছে চিহ্নিত ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী মহল ও নাস্তিক দালাল শাহবাগীরা। শুধু তাই নয়, সে কটূক্তি করেনি বলে মিডিয়ায় তথ্য সন্ত্রাসও চালানো হচ্ছে। অথচ ‘বিবিসি বাংলা’র (১৮-৫-২০১৬ঈ.) সংবাদেও ঐ স্কুলের ছাত্ররা উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শিক্ষক শ্যামল কান্তির ‘ইসলাম ধর্ম অবমাননা’ তথা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া সাক্ষী দিয়েছে।

বিবৃতিতে ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, তাছাড়া শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ কয়েকদিন আগে বলেছে যে, “সব শিক্ষক ধোয়া তুলসি পাতা না।” কাজেই সেক্ষেত্রে সব শিক্ষক অবশ্যই ধোয়া তুলসি পাতা নয়। ভিকারুন্নেছার শিক্ষক পরিমল, চাঁদপুরের অজয় কুমার, আহসান উল্লাহ’র মাহফুযদের অপকর্মের উদাহরণ কি নেই? কাজেই শিক্ষক তকমা লাগালেই কেউ এতোটুকু চূড়ান্ত দুঃসাহস দেখাতে পারে না যে, সে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের শান মুবারকে অবমাননার অপচেষ্টা চালাবে। নাউযুবিল্লাহ! উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শিক্ষক (প্রকৃতপক্ষে শিক্ষক নামের কলঙ্ক) শ্যামল কান্তি যদি হিন্দুদের দেবী দুর্গা সম্পর্কে কটু মন্তব্য করতো, তখন কি তাকে ছেড়ে দেয়া হতো? কখনোই না। বিবৃতিতে ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘ইসলাম ধর্মের অবমাননা’ করলেও উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক হিন্দু শিক্ষকের পক্ষাবলম্বন করেছে ইসলামবিদ্বেষী শাহবাগী ও অন্যান্য নাস্তিক্যবাদীরা।

মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ায় জনরোষের শিকার সেই উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক হিন্দু শিক্ষককে নিয়ে দালাল মিডিয়া দৈনিক প্রথম আলো, বিডি নিউজ, নাস্তিক ব্লগার ও উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক হিন্দুগোষ্ঠী প্রচার করছে যে- ‘গোটা বাংলাদেশই কান ধরে উঠবস করেছে’। নাউযুবিল্লাহ! দালাল মিডিয়ার দালালির প্রতিবাদে ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন প্রমাণিত অপরাধী শিক্ষককে (প্রকৃতপক্ষে শিক্ষক নামের কলঙ্ক) কান ধরে উঠবস করালে যদি বাংলাদেশ কান ধরে উঠবস করে, তাহলে প্রমাণিত অপরাধী পরিমলের মতো কোনো কুলাঙ্গার শিক্ষক ধর্ষণ করলে কি গোটা বাংলাদেশকে ধর্ষক বলা যাবে?

ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, তাছাড়া কোনো ধর্মদ্রোহী শিক্ষক নামধারী উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক হিন্দু বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে না যে, সে হারলে বাংলাদেশ হেরে যাবে। বরং মুসলমানরাই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, আমি বাঙালি, আমি মুসলমান। অর্থাৎ যখন মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকে অগ্রাহ্য করা হয়, তখনই বাংলাদেশ হেরে যায়। আর যখন এসব শিক্ষক নামধারী মৌলবাদী উগ্র সাম্প্রদায়িক হিন্দুরা তাদের অপকর্মের উপযুক্ত শাস্তি পায়, তখনই বাংলাদেশ জিতে যায়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, লম্পট পরিমলও শিক্ষক নামধারী ছিলো। তাকে তো ক্ষমা করা হয়নি। তাহলে বিশ্বের সোয়া তিনশ’ কোটি মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক হিন্দু শ্যামল কান্তিকে কেন ক্ষমা করা হবে? বরং তাকে গ্রেফতার করতে হবে এবং ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে। পাশাপাশি এই উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক হিন্দুর পক্ষে যারা সাফাই গেয়ে যাচ্ছে তারাও ধর্মাবমাননার তথা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অপরাধ তথা ফৌজদারী অপরাধ করায় তাদের সবাইকে ফৌজধারী মামলায় গ্রেফতার করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)