আসামে নাগরিকত্বের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন ৪০ লাখ বাসিন্দা

ভারতের আসামে প্রকাশিত নাগরিকত্বের চূড়ান্ত খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন অন্তত ৪০ লাখ বাসিন্দা। এদের অধিকাংশই বাঙালি মুসলমান বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় আসামের নাগরিকত্ব না পাওয়া বাঙালিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হলে নয়াদিল্লি-ঢাকা সম্পর্কের অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দেশটিতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশিদের অবৈধ ঘোষণা করতে তৎপর হয়ে ওঠে ভারত সরকার। এরই অংশ হিসেবে আসামে নাগরিকত্ব তালিকা হালনাগাদ শুরু করে রাজ্য সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর প্রকাশিত প্রথম হালনাগাদ তালিকা থেকে বাদ পড়ে রাজ্যের ১ কোটি ৩৯ লাখ বাসিন্দা।
প্রতিবাদ আর তুমুল বিতর্কের পর নাগরিকত্ব তালিকা আবরো হালনাগাদের ঘোষণা দেয় আসাম সরকার। গত সোমবার সকালে নাগরিকত্বের চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করে ভারতের নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ। এতে দেখা যায়, রাজ্যের কোটি ২৯ লাখ বাসিন্দার মধ্যে, তালিকায় স্থান পেয়েছেন ২ কোটি ৮৯ লাখ।
এদিকে আসামে নাগরিকত্বের তালিকা প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একে ‘ডিভাইড এন্ড রুল’ নীতি বলে অভিহিত করে। সে বলে, এর মাধ্যমে আসামের ওইসব বাসিন্দারা নিজ দেশেই শরণার্থী হবে।
নাগরিকত্ব না পাওয়া বাসিন্দাদের আসাম থেকে ফেরত পাঠানো হলে, পশ্চিমবঙ্গে তাদের আশ্রয় দেওয়া হবে বলেও জানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।