আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত মানিকগঞ্জের চাষিরা

মানিকগঞ্জ সংবাদাদাতা: সবজির জেলা হিসেবে খ্যাত মানিকগঞ্জ। এ অঞ্চলের উৎপাদিত সবজির চাহিদা রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে রয়েছে।

শসা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, ধনিয়া, টমোটো, কদুসহ সকল ধরনের আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন মানিকগঞ্জের সবজি চাষিরা। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এ বছর সবজি চাষে লাভের আশা করছেন তারা।

শুক্রবার সরেজমিনে সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় জমিতে কোনো না কোনো সবজি চাষাবাদ করা হচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষাবাদে। শীতকালীন আগাম সবজিগুলো আগামী দেড় থেকে দুই সপ্তাহ পর থেকে বাজারে সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে।

সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি এলাকার শরীফ মিয়া বলেন, ‘৬৫ শতাংশ জমিতে আগাম ফুলকপি ও বাধাকপি চাষ করেছি। আগামী দেড় থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এগুলো বাজারে নেওয়া যাবে। বীজ,সার,কীটনাশক ও শ্রমিক খরচ মিলিয়ে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারদর ভালো থাকলে লাখ টাকা লাভের আশা করছি।’

রাইল্যা এলাকার হেদায়েত উল্লাহ নামের এক চাষি বলেন, ‘কদু, ধনিয়া ও শসার আগাম চাষ করছি। প্রতিদিন নিজে মাঠে কাজ করছি। সঙ্গে কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছেন। সাত বিঘা জমিতে ফুলকপি, দুই বিঘা জমিতে শশা ও দুই বিঘা জমিতে ধনিয়া চাষ করছি।’ সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় লাভের পরিমাণ বছর বছর কমে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

একই এলাকার রুস্তম মিয়া বলেন, লকডাউনের সময় বাদে সবজি চাষে প্রতি বছর বেশ লাভ হয়েছে । তবে ফলন ভালো হলেও অনেক সময় বাজারদর ভালো না হওয়ায় আমাদের লোকসানে পড়তে হয়। বাজারদর নিয়ে সরকারিভবে নজরদারি থাকলে আমাদের উপকার হতো।

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহজাহন আলী বিশ্বাস জানান, এ বছর জেলায় আট হাজার একশো হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় সতেরশো হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করা হয়েছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এ বছর সবজির ভালো ফলন হবে আশা করা যাচ্ছে।