রেলপথের পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে চাকরি পাওয়াদের সবাই মাস্টার্স পাশ -শিক্ষার মান ও বেকারত্ব নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন

ঢাকা: গত ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে দুই ধাপে ২ হাজার ১৭২ ওয়েম্যান নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চতুর্থ শ্রেণীর (১৯তম গ্রেড) ওয়েম্যান পদের মূল কাজ রেলপথ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। এছাড়া রেললাইনের নাট-বল্টু টাইট দেয়াসহ ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের কাজটিও তারাই করে থাকেন। কায়িক পরিশ্রমনির্ভর পদটিতে আবেদনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করেছে এসএসসি বা সমমান। যদিও সর্বশেষ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ধাপ পেরিয়ে যারা ওয়েম্যান হিসেবে চাকরি পেয়েছেন, তাদের সবার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর বা মাস্টার্স পাস।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওয়েম্যানরা লাইন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, লাইনের অ্যালাইনমেন্ট খারাপ থাকলে সেটাকে ঠিক করা, কোথাও কাদা-মাটি জমে গেলে সেটাকে পরিষ্কার করার কাজগুলো করে থাকেন। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তাদের কাজ করতে হয়। কাজগুলো করতে হয় পায়ে হেঁটে। সঙ্গে রাখতে হয় গাঁইতি, শাবল, কোদালের মতো উপকরণ।

দৈনিক বণিক বার্তার বরাতে জানা যায়- নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‌ওয়েম্যান পদে আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল এইট পাস। এখন এটা এসএসসি করা আছে। যোগ্যতাসম্পন্ন যে কেউ আবেদন করতে পারে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ধাপ পেরিয়ে চূড়ান্ত নিয়োগ পান প্রার্থীরা। ওয়েম্যানের কাজটাই হলো পরিশ্রমের। এবার যারা নিয়োগ পেয়েছেন, সবাই মাস্টার্স করা। উচ্চশিক্ষিত অনেক তরুণ এ পদে মানিয়ে নিতে পারছেন না। অনেকে চাকরিও ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।’

মাস্টার্স পাশ করা মেধাবী শিক্ষার্থীরা কেন ওয়েম্যান পদের মতো পরিশ্রমের চাকরিতে আবেদন করছেন? কেন মেধা থাকা সত্বেও ভালো চাকরি পাচ্ছেন না? বাংলাদেশে কি পরিমাণ শিক্ষিত বেকার রয়েছে? নাকি শিক্ষার মান এতোই নিচে নেমে গেছে যে মান সম্মত চাকরিতে মেধাবীদের ঠাই হচ্ছে না? এমন বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠছে অভিভাবক মহল থেকে।