‘যেখানে সেখানে কারখানা করবেন না’

নিউজ নাইন২৪, ঢাকা:  যেখানে সেখানে জমি কিনে শিল্প কারখানা স্থাপন না করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সরকার সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করছে। সেখানে শিল্প কারখানা স্থাপন করুন। তাহলে গ্যাস, বিদ্যুৎ পানিসহ যা যা লাগে সেগুলো দেওয়া হবে।

রোববার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। মে দিবস উপলক্ষে শ্রম মন্ত্রণালয় এই সমাবেশের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের মুখে খাবার দিতে হবে। এজন্য কৃষি জমির প্রয়োজন। তাই যেখানে সেখানে শিল্প কারখানা করবেন না। জমির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এ কারণে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প কারখানা করুন।

তিনি শ্রমিকদের জন্য, বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ ও থাকার ভালো ব্যবস্থা করতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। তার সরকার শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ বন্ধ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শ্রমিকদের কল্যাণে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা তৈরি পোশাককর্মীদের ন্যূনতম বেতন ৫ হাজার টাকা নির্ধারণের কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের জন্য বারগেইনিং এজেন্ট বলতে আমিই ছিলাম। শ্রমিকরা কিন্তু আমার কাছে দাবি নিয়ে আসেনি। আমি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে করে দিয়েছি।’ ‘কথা রাখার জন্য’ পোশাক শিল্প মালিকদেরও ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি স্বাধীন যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ গড়তে শেখ মুজিবের একাগ্রতার কথা স্মরণ করে বলেন, সে সময় তিনি শ্রমিকের কর্মসংস্থান ও শিল্পকারখানা চালু করেছিলেন। তিনিই প্রথম পহেলা মে শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন শুরু করেন।

তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়াতে তার সরকারের উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই বেতন বাড়ানোর জন্য আমিই ছিলাম বার্গেইনিং এজেন্ট।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন আলোচনা উঠল ত্রীপক্ষীয় বৈঠকে শ্রমিক নেতারা যা বলতে চেয়েছিলেন, তাদের থামিয়ে আমি বলেছিলাম, তোমরা থামো শ্রমিকদের জন্য আমি চাইব। আমি চেয়েছি। আর আমার কথা মালিক পক্ষ রেখেছে। তাদের কিছু সুযোগ সুবিধা দিতে হয়েছে কিন্তু তারা কথা রেখেছেন। শ্রমিকরা আজ ন্যুনতম সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা বেতন পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, শ্রমিক ভালো পরিবেশে কাজ করতে পারলে উৎপাদন বেশি হবে। আর শ্রমিকও মনের আনন্দে কাজ করতে পারবে।