ভোটগ্রহণ শুরু ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের
নিউজ ডেস্ক:বুধবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বৃষ্টির কারণে পরিবেশ ছিল শান্ত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিও থেমে যায়। পাল্টে যায় পরিস্থিতি। সকাল ১০ টার পর থেকে বিরাজ করে উৎসব মুখর পরিবেশ। ভোটাররা সারিবদ্ধভাবে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন।
অন্যদিকে প্রার্থী এবং সমর্থকরা নিজেদের পক্ষে ভোট আদায়ের চেষ্টা করছেন। কেন্দ্রের সামনে এবং বাইরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটের আইনজীবীদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়।
আজ সকাল ৯টা থেকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০১৯-২০২০ বর্ষের দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের প্রথম দিনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। মাঝে এক ১ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবারও একইভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর রাতে ভোট গণনা শুরু হবে।
নির্বাচন সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সমিতির প্রাক্তন সভাপতি মোখলেছুর রহমান বাদল বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের মোট ২৭টি পদে ২৭ জন করে ৫৪ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যেখানে ২৪ হাজার ৬৮৪ জন সদস্যের মধ্যে ১৭ হাজার ৮৯৭ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।’
নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ব্যাপারে উভয় পক্ষই আশাবাদী। এ সম্পর্কে সাদা প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমিতির প্রাক্তন সভাপতি কাজী নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। একসঙ্গে সবাই কাজ করছি। আশা করছি, আমরা অধিকাংশ পদেই জয়লাভ করব।’
এ সম্পর্কে নীল প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমিতির প্রাক্তন সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। তাই আশা করছি, গতবারের ফলাফলের চেয়ে এবার ফলাফল অনেক ভালো হবে।’
নীল প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন-সভাপতি পদে মো. ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হোসেন আলী খান হাসান। অন্যদিকে সাদা প্যানেলে সভাপতি পদে গাজী শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আসাদুজ্জামান খান রচি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২০১৮-২০১৯ কার্যবর্ষের নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতিসহ ১৩টি পদে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল জায়লাভ করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল সাধারণ সম্পাদকসহ মাত্র ১৪টি পদে জয়লাভ করে।
নীল প্যানেলের অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন-সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম দেওয়ান, সহ-সভাপতি পদে এ আর মিজানুর রহমান, ট্রেজারার পদে মো. লুৎফর রহমান আজাদ, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. নিহার হোসেইন ফারুক, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. সাখাওয়াত উল্লাহ ভুইয়া ছোটন, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে মো. জিয়াউল হক জিয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোরশেদা খাতুন শিল্পী, দপ্তর সম্পাদক পদে মো. জুলফিকার আলী হয়দার জীবন, খেলাধুলা সম্পাদক পদে মো. মনিরুল ইসলাম আকাশ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে মাহবুব হাসান রানা।
সদস্য পদে আজহার উদ্দিন রিপন, কাজী রাওশান দিল আফরোজ, এম.আর, রাসেল, মো. বাবুল আক্তার, মো. ইব্রাহিম খলিল, মো. ইকবাল মাহমুদ সরকার, মো. মেহেদী হাসান জুয়েল, মো. রাসেদুল ইসলাম রাসেল, মোহাম্মাদ ইব্রামি (স্বপন), মোহাম্মাদ মোস্তফা কামাল, মো. ইয়াছিন মিয়া, মোসা. ফারহানা আক্তার লুবনা, নজরুল হক সুভা, শাহীন সুলতানা খুকি ও সাদেকুল ইসলাম ভুঁইয়া জাদু।
সাদা প্যানেলের অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন-সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি পদে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল, ট্রেজারার পদে আব্দুল জলিল আফরাদ (কবির), সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মাদ ওমর ফারুক আসিফ, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে মো. আতাউর রহমান খান রুকু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শায়লা পারভীন পিয়া, দপ্তর সম্পাদক পদে মো. জাহিদুল ইসলাম কাদির, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. উজ¦ল মিয়া ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে হুমায়ুন খন্দকার টগর।
সদস্য পদে আয়েশা বিনতে আলী, এএইচএম শফিকুল ইসলাম মোল্লা সোহাগ, হোয়াত আল মাহমুদ জিকু, কাওছার হাসান, মো. সাব্বির হাসান, মো. বাহারুল ইসলাম বাহার, মো. হাসান আকবার আফজাল, মো. ইব্রাহিম হোসেন, মো. জুয়েল শিকদার, মো. মাসুম মিয়া, মো. মাসুম মৃধা, সাইফুল ইসলাম, সৌরভ হোসেন, তানভীর আহমেদ সজিব ও তুষার ঘোষ।