ইহুদীদের মধ্যে `হঠাৎ বিজ্ঞানী’ বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে যে কারণটি অনেকের অজানা

অনলাইন ডেস্ক: বর্তমানে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান বলতে যেটা বোঝায়, তার জনক হচ্ছে মুসলমানগণ। শুরু থেকেই মুসলমানগণ ছিলেন জ্ঞান বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ ও প্রাচুর্যময়, অপরদিকে অমুসলিমরা ছিলো মূর্খ, অজ্ঞ ও বর্বর। এমনকি ইতিহাসের বইতে এমনও তথ্য  পাওয়া যায় যে, আরব দেশগুলোতে যখন মুসলমানগণ চিকিৎসা, গণিত, মহাকাশ ইত্যাদি শাখায় গবেষণায় ব্যস্ত সময় পার করতো তখন ইউরোপের দেশগুলোতে অমুসলিমরা ছিলো ক্যানিবল (মানুষখেকো)।

১২৫৮ সালে মোঙ্গলীয় শাসক হালাকু খান মুসলিম জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু বাগদাদ নগরীতে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এমনকি স্পেনের কর্ডোভায় ৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত মুসলিমদের জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্র বৃহত্তর পাঠাগার ‘বাইতুল হিকমাহ লাইব্রেরী’ও ধ্বংস করে। যেহেতু তারা নিরক্ষর ছিল তাই বই পুস্তক ও গবেষনার গুরুত্ব তারা বুঝেনি। তবে লাইব্রেরীর ধ্বংসস্তুপ থেকে মুসলমানদের গবেষণাকৃত অনেক পান্ডুলিপি ও প্রকাশিত সহস্রাধিক বই চুরি হয়ে যায়, যা পরবর্তীতে ইহুদী ও খ্রিস্টান জাতি করায়ত্ব করে ফেলে।

উল্লেখ্য, এই বাইতুল হিকমাহ লাইব্রেরী ছিলো মুসলিম স্বর্ণযুগে বিশ্বের সবচেয়ে  বড়  লাইব্রেরী। যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো উমাইয়্যা খিলাফতের সময়। পাঁচ শতাধিক কর্মী নিয়োজিত ছিলো বিশাল এই লাইব্রেরীতে। আধুনিক বিশ্বে যত উল্লেখযোগ্য আবিস্কার পাওয়া যায় তার অধিকাংশই ছিলো সেই সময়ের মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিস্কৃত।

একইভাবে ১৪৯২ সালে পতন হয় স্পেনে মুসলিম শাসনের। ঐ সময় স্পেন ছিলো মুসলিম সভ্যতার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র, যেখানে বিশাল লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত ছিলো মুসলিম বিজ্ঞানীদের গবেষণাধর্মী বইসমূহ। স্পেন দখলের পর খ্রিস্টানরা স্পেনের লাইব্রেরীগুলো দখল করে, তারা অনেক বই সরিয়ে ফেলে, অনেক বই নদীতে ফেলে দেয়, আবার অনেকগুলো আগুনে ধ্বংস করে ফেলে।

১৫শ’ শতাব্দীর শেষ দিকে মুসলিম বিজ্ঞানীদের থেকে চুরি করা বইগুলো নিয়েই ১৭শ’ শতাব্দীতে ইউরোপীয়দের মধ্যে আকষ্মিক জ্ঞান বিজ্ঞানের সূচনা ঘটে। তারা মুসলমানদের থেকে চুরি করা বইগুলো অনুবাদ করতো এবং আবিস্কারক হিসেবে নিজেদের নামে প্রচার করতো। তবে মুসলমানদের লিখিত অধিকাংশ বই ছিলো আরবী ভাষায়, খ্রিস্টানরা আরবী খুব একটা বুঝতো না, কিন্তু ইহুদীরা বুঝতো। তাই খ্রিস্টানরা মুসলমানদের বইগুলো ইহুদীদের কাছে দিয়েছিলো অনুবাদের জন্য। ইহুদীরা ছিলো ধূর্ত। তারা বলতো- ‘একটা একটা বই দিলে হবে না, সব দাও, আমরা ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ করে দিবো’। ইহুদীদের এ কথা শুনে খ্রিস্টানরা তাদেরকে অধিকাংশ বই দেয়, যেখান থেকে ইহুদীরা বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা নিজেদের কাছে রেখে দেয়। মূলত, এই কারণে বর্তমানে ইহুদীদের মধ্যে বেশিরভাগ কথিত বিজ্ঞানীর দেখা মিলে। সঙ্গত কারণেই দেখা যায়, ১৬শ’ শতাব্দীর আগে ইহুদী-খৃস্টারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোন বিজ্ঞানী বা গবেষক পাওয়া যায় না।