পবিত্র হাজরে আসওয়াদকে মূর্তির সাথে তুলনা করায় আইনী নোটিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র কা’বা শরীফ উনার মাঝে স্থাপিত পবিত্র পাথর হাজরে আসওয়াদকে মূর্তির সাথে তুলনা করায় গণস্বাস্থ্য মেডিকেলের চেয়ারম্যান ড. জাফরুল্লাহকে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছেন দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকাদ্বয়ের সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলম।
নোটিশদাতার আইনজীবী ফোনালাপে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশে তার বক্তব্যের জবাবে বলা হয়, হাজরে আসওয়াদ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, এই কালো পাথরটি জান্নাত থেকে নেমে এসেছিলো। (তিরমিযী শরীফ ৮৭৭, নাসাই শরীফ ২৯৩৫)
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অসংখ্য হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত যে, দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য এ পাথরটির রয়েছে পবিত্রতা, সম্মান ও গুরুত্ব। হাদীছ শরীফে আরও ইরশাদ হয়েছে, “মহান আল্লাহপাক উনার কসম! ক্বিয়ামত দিবসে মহান আল্লাহ পাক তিনি হাজরে আসওয়াদকে এমনভাবে উপস্থাপন করবেন যে, এটি চুম্বনকারী সকলের পবিত্র ঈমানের সাক্ষ্য দেয়ার জন্য তার দুটি চোখ এবং একটি জিহ্বা থাকবে। ” [তিরমিজি শরীফ ৯৬১]
আরও ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হাজরে আসওয়াদ ও আল-মাকাম (ইব্রাহিম) জান্নাতের রতœ থেকে প্রাপ্ত দুটি রত্ন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি তাদের উজ্জ্বলতা গোপন না করতেন তবে তারা পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যকার সবকিছু আলোকিত করত। ” [তিরমিজি শরীফ ৮৭৮]
হাজরে আসওয়াদ শ্রদ্ধার সাথে করা চুম্বন করা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নাত মুবারক।
হাজরে আসওয়াদকে চুমু দেয়ার পরে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম বলেছিলেন: “আমি ভাল করেই জানি যে আপনি কেবল একটি পাথর যা ভাল বা ক্ষতি করতে পারে না। আমি যদি নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে চুম্বন করতে না দেখতাম, তবে আমিও তা চুম্বন করতাম না। [বুখারী শরীফ ১৫৯৭]
হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার উক্ত বক্তব্য মুবারক উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, এই ঘোষণায় পাথরের চুম্বন সম্পর্কিত মুসলমানদের বুনিয়াদি আদর্শ দেখানো হয়েছে, সুতরাং পাথর চুম্বনকে মূর্তিপূজা বলে ধারণা করা ইসলামে কোন ভিত্তি না নিয়ে একটি ভুল ধারণা।
নোটিশে এ ধরণের বক্তব্যের ব্যপারে সতর্ক করে বলা হয়, সাংবিধানিভাবে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকলেও কারও ধর্ম নিয়ে অনুমান নির্ভর কথা বলা দ-বিধি অনুসারে সুস্পষ্ট শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যা সুস্পষ্টভাবে ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত।
এমতাবস্থায় তার দায়িত্ব হবে- একই চ্যানেলে স্পষ্ট বিবৃতির মাধ্যমে এ ধরণের বক্তব্য প্রত্যাহার করা, ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করার বিষয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের অসদাচরণ বিরত থাকার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্পষ্ট বিবৃতি দেয়া।
অন্যথায় এই নোটিশ পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে উল্লিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।