ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জামায়াত নিষিদ্ধে বিলম্ব করছে সরকার
ঢাকা: চার বাম দল ও চার ইসলামী দলের শীর্ষ নেতারা বলেছে, ক্ষমতা টিকে রাখতে জামাত নিষিদ্ধে বিলম্ব করছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাটির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন, সরকার জামাত নিষিদ্ধের ব্যাপারটি নিয়ে খেলছে। এতে আওয়ামী লীগ মনে করছে জামাতকে নিষিদ্ধ করলে দেশের ও তাদের দলের ক্ষতি হবে। তবে আমি মনে করি, ক্ষমতাকেন্দ্রীক রাজনীতির কারণে আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধী জামাতকে নিষিদ্ধ করছে না।
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব লায়ন এম এ আউয়াল এমপি বলেন, আমরা জামাত নিষিদ্ধের ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে সংসদে ও সংসদের বাইরে আন্দোলন করে আসছি, এখনো আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। শুনেছি, আগামী সংসদ অধিবেশনে সরকারের পক্ষ থেকে জামাত নিষিদ্ধের ব্যাপারে বিল আকারে উত্থাপন করা হবে। আমরা জামাত নিষিদ্ধের ব্যাপারে সেই বিলের অপেক্ষায় আছি।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, শাসক শ্রেণিভুক্ত দলগুলো ভোটের স্বার্থে ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার প্রয়োজনে এবং ধর্মের রাজনীতির ব্যবহার ও ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে নানা সময় জোট বাঁধার বা গোপন সমঝোতা করার বহু নজীর রয়েছে। বর্তমানে জামাত নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির যে নতুন হিসাব নিকাশ চলছে, যার ফলে বিএনপি জামাতের সঙ্গে সম্পর্ক চিহ্ন করতে পারছে না। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতাবিরোধী জামাতকে নিষিদ্ধ করার প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না।
তিন দল নিয়ে গঠিত ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মিজবাহুর রহমান বলেন, আইনী প্রক্রিয়ার কারণে জামাত নিষিদ্ধের ব্যাপারটি দেরি হচ্ছে। আমাদের আন্দোলন এখনো অব্যাহত রয়েছে। যত দ্রুত জামাত নিষিদ্ধ করা যায়, সে ব্যাপারে সরকারের কাছে আমাদের দাবি অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য বিমল বিশ্বাস বলেন, সরকার নীতিগভাবে জামাত নিষিদ্ধের ব্যাপারে কোনো আপত্তি করেনি। জামাতের যুদ্ধাপরাধীদের সম্পতি বাজেয়াপ্ত করা দরকার। দেশী-বিদেশী শক্তির আপত্তির পরও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর হচ্ছে। সরকার বিলম্বে হলেও জামাত নিষিদ্ধের ব্যাপারে অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
গণফোমের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, দলের পক্ষ থেকে জামাত নিষিদ্ধের ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও আমরা প্রত্যেকে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাত নিষিদ্ধের ব্যাপারে সোচ্চার। আমাদের দাবি আনুযায়ী সরকার অবশ্যই জামাত নিষিদ্ধ করবে বলে আমরা মনে করি।