‘কোটা বা ভাতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি’
কোটা বা ভাতা পাওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেননি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো: রুহুল আমিন মজুমদার।
তিনি বলেন, আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ৭১ এ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। কোটা বা ভাতা পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করিনি।
আজ শনিবার নিউজনাইন২৪.কম-এর সাংবাদিক আবির, ইনজামাম, জিয়াউল হকের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ আমার বাবা একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। আর আমি ছিলাম তখন তরুন। তাই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ পাওয়া মাত্রই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। দেশ স্বাধীনের আগে থেকেই আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করতাম, এখনও করি, আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই বাঁচতে চাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার যে কোনো সিদ্ধান্তকে অবশ্যই সমর্থন করি”- যোগ করেন তিনি।
মজুমদারমুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আরো বলেন, কোনো জামায়াত শিবির রাজাকাররা যেন সরকারি চাকুরি না পায় সেটার প্রতি লক্ষ রাখা উচিত। কারণ স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশকে পিছিয়ে দিতে সব সময় সচেষ্ট রয়েছে।
জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, দেশ আজ উন্নতির শিখরে পৌঁছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী আজ উন্নত বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সূতরাং অধিকতর যোগ্যতার ভিত্তিতে মেধায় নিয়োগ হলে উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যেই সময়ে কোটা বরাদ্ধ করেছিলেন সেটা তখনকার জন্য যথার্থই ছিল। এখন আর মুক্তিযোদ্ধাদের আগের মত সেই পরিস্থিতি নেই। তাই ৩০% কোটার এখন আর প্রয়োজন নেই।
তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতি নাতনিদের দিয়ে ৩০% কোটা কখনও পূরন হয় না; বরং এর জন্য আমাদের অন্যের কথা শুনতে হয়। তাই কোটা ৩০ শতাংশ থেকে আরো কমিয়ে আনা উচিত।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা যেহেতু মেধা ও যোগ্যতা দিয়েই প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা অতিক্রম করে, তাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবী অনুযায়ী প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার নম্বরপত্র প্রকাশ করা উচিত।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি, প্রতিবন্ধি বা পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠিদের জন্য কোটা না রেখে ‘তারা কেন পিছিয়ে রয়েছে’ সেটা চিহ্নিত করে তাদের জন্য শিক্ষা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সরবরাহ করা উচিত। এভাবে তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য আলাদা প্রজেক্ট বা সুচিন্তিত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারলে সেটা হবে টেকসই এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যবস্থাপনা। এমনটা করা গেলে তাদের আর কোটার প্রয়োজন হবে না, নিজেদের যোগ্যতা দিয়েই নিজেদের অবস্থান করে নিতে পারবে।