‘করোনা’ ছোঁয়াচে বা মহামারী কোনটাই নয়: ওলামা লীগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তৎপরতাকে ধন্যবাদ দিয়ে ‘করোনা ছোঁয়াচে ও মহামারী’- ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রণীত এবং তার সাথে ধর্মব্যবসায়ী উলামাদের দ্বারা সমর্থিত এ ভুল ও কুফরী এবং ষড়যন্ত্রমূলক ফতওয়ার প্রতি রাজারবাগ শরীফ থেকে ঘোষিত ১০০ কোটি টাকার প্রকাশ্য বাহাসের চ্যালেঞ্জ এর প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবং লকডাউনকে বিএনপি জামাতের ষড়যন্ত্র উল্লেখ্য করে ৭ দফা দাবীতে আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানববন্ধন করেছে ওলামা লীগ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩টি ইসলামীক দল। সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে কোন প্যানিক তৈরী করবেন না। কিন্তু জামাতী তথা ধর্মব্যবসায়ী মালানারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কঠিন আতঙ্ক তৈরী করেছে। অথচ তারা এতদিন হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনাদের এবং পবিত্র মাজার শরীফ থেকে বিমুখ করার জন্য জোর গলায় প্রচার করত- সব কিছু দেয়ার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি। কিন্তু করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার মালিক যে মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা এখন আর তারা প্রচার করছেনা।
তারা বলেন, বিএনপি জামাতের সুরে সুর মিলিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক দুর্নীতিবাজ ডিজির আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত বর্তমান জামাতী মালানা, মুফতী, মুহাদ্দিস, মুনাফেক কওমী মালানা এবং ধর্মব্যবসায়ী মালানারা করোনাকে ছোঁয়াচে ও মহামারী বলে ফতোয়া দিয়েছে এবং সরকারকে লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য করেছে। অথচ খোদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফের বাংলা অনুবাদে উল্লেখ আছে “সংক্রমণ বা ছোঁয়াচে রোগ বলতে যে কোন কিছু নেই”। সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে বিশ্বাস করা কাট্টা কুফরী ও শিরকীর অন্তর্ভুক্ত।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নিজেই নিজের প্রকাশিত অসংখ্য কিতাবের বিরুদ্ধে ফতওয়া প্রকাশ করে চরম মূর্খতার ও স্ববিরোধীতা এবং প্রতারণার ও ষড়যন্ত্রের পরিচয় দিয়েছে।
এদিকে, জামাতী মুনাফেক কওমী ও ধর্মব্যবসায়ী মালানারা সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য, সরকারকে ইসলামবিরোধী প্রমাণ করার জন্য দ্বীনদারদের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্য পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অপব্যাখ্যা করে লকডাউনের পক্ষে উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কাজ করেছে। তারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী কাজ করতে হবে। অর্থাৎ তারা নিজেরা দায়বোধ না নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথা সরকারের উপর দায় চাপিয়ে দিয়েছে।
ওলামা লীগ নেতারা বলেন, বিএনপি জামাত এবং মুনাফেক কওমী মালানা গোষ্ঠী ও ধর্মব্যবসায়ী মালানাদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে অবিলম্বে আত্মঘাতি লকডাউন তুলে দিতে হবে। ‘করোনা ছোঁয়াচে বা মহামারী’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এ ফতোয়া প্রত্যাহার করতে হবে। কাতারে ফাক করে দাড়ালে তার মধ্যে শয়তান ঢুকে এবং জামাত ফাসেদ হয়। তাই মসজিদে কাতার পূর্ণ করে দাড়াতে হবে। মাঠে ঈদের জামাত পড়তে হবে। ধর্মব্যবসায়ী মালানাদের কারণে দেশের লাখ লাখ হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং অন্যান্য মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে গেছে। ছাত্ররা লেখাপড়া ভুলে যাচ্ছে। ওস্তাদরা বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। দেশে ইসলামী প্রতিষ্ঠান ও ইসলাম চর্চা এমনভাবে বন্ধ করা হয়েছে যা কোনো কমুনিষ্ট শাসকও করতে পারতনা। এসবই হয়েছে ধর্মব্যবসায়ী এবং অজ্ঞ মালানাদের কারণে। বক্তারা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
বক্তারা আরো বলেন, বিএনপি জামাত চাচ্ছে লকডাউন জোরদার করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার জন্য। মানুষ মারার জন্য এবং সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য। চিকিৎসা না পেয়ে, না খেয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে জনরোধ তৈরী করে দেশের ক্ষতি করে সরকারের গদি নড়িয়ে দিতে। লকডাউন ব্যাপক জোরদার করে সরকারের পতন ঘটাতে। বিএনপির ফখলরুল বলেছে, ‘করোনা মোকাবেলায় কঠোর লকডাউন দিতে হবে। লকডাউন চলছে নাম মাত্র। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রয়োজনে সারা দেশ কঠোর লকডাউন দিতে হবে।’ অপরদিকে সরকারের প্রচুর ত্রাণ তৎপরতার পরও ফখরুল বলেছে, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ।’ বক্তারা বলেন, ফখরুলের এসব কথা প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রীর বহু বিবৃতিতেও বিএনপি যে উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে লকডাউন চাচ্ছে সে বিষয়টি ফুটে উঠেছে- সারা দেশে লকডাউন দীর্ঘায়িত করতে চায় বিএনপি -তথ্যমন্ত্রী
খেটেখাওয়া মানুষের কথা ভাবে না বলেই ‘লকডাউন’ প্রলম্বিত করতে চায় বিএনপি -তথ্যমন্ত্রী (প্রথম আলো, ১১ .৫.২০), করোনা নিয়ে বিএনপি জনগণকে আতঙ্কিত করছে -তথ্যমন্ত্রী (কালের কণ্ঠ ১১.৫.২০), খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবে না বিএনপি -তথ্যমন্ত্রী (বাংলাদেশ প্রতিদিন ১১.৬.২০)
এছাড়া বক্তারা আরো বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত, প্রকাশকাল, শাওয়াল মাস ১৪১৪ হিজরী, বুখারী শরীফের বাংলা অনুবাদের ৯ম খ-ের ২৩৪ পৃষ্ঠার ২২৮৯ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে“হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কোন রোগ সংক্রামক অর্থাৎ সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই, কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কোন কুলক্ষণ বা অশুভ নেই, পবিত্র ছফর শরীফ মাসে অশুভ বলতে কিছু নেই। তবে তোমরা কুষ্ঠরোগী থেকে দূরে থাকো, যেমন সিংহ থেকে দূরে থাকো।” (মুল কিতাব বুখারী শরীফ ২য় খ-, পৃষ্ঠা- ৮৫০)
একইভাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত, প্রকাশকাল, যিলহজ্জ মাস ১৪১২ হিজরী, তিরমিযী শরীফের বাংলা অনুবাদের ৪র্থ খ-ের ৪৯৪-৪৯৭ পৃষ্ঠার ২১৪৪ নং পবিত্র হাদীছ শরীফে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত, প্রকাশকাল, রবীঊল আউওয়াল শরীফ মাস ১৪২০ হিজরী, আবূ দাউদ শরীফের বাংলা অনুবাদের ৫ম খ-ের ৫২ পৃষ্ঠার ৩৮৭২ নং পবিত্র হাদীছ শরীফে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত, প্রকাশকাল, যিলহজ্জ মাস ১৪২৩ হিজরী, সুনানু ইবনে মাজাহ শরীফের বাংলা অনুবাদের ৩য় খ-ের ২৯৫ পৃষ্ঠার ৩৫৩৯ নং পবিত্র হাদীছ শরীফে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত, প্রকাশকাল, রবিঊল আউয়াল শরীফ মাস ১৪২০ হিজরী, আবূ দাউদ শরীফের বাংলা অনুবাদের ৫ম খ-ের ৫২ পৃষ্ঠার ৩৮৬৯ নং পবিত্র হাদীছ শরীফে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত, প্রকাশ কাল, যিলহজ্জ মাস ১৪২৩ হিজরী, ইবনে মাজাহ শরীফের বাংলা অনুবাদের ৩য় খন্ডে ২৯৫ পৃষ্ঠার ৩৫৩৮ নং পবিত্র হাদীছ শরীফেও বর্ণিত রয়েছে।
আরো উল্লেখ্য করে বক্তারা বলেন, ইফা করোনাকে মহামারী বলেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কারণ মহামারী হয় একটি নির্দিষ্ট এলাকায়। আর করোনা হয়েছে সারাবিশ্বে। অপরদিকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে মহামারী তাকেই বলে যেখানে ঘন্টায় কমপক্ষে ২০ হাজার লোক মারা যায়।
বক্তারা বলেন, মহামারী হলো, মহা আকারে মারি (মৃত্যু)। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসের নামে ৩০-৩৫ জনের মৃত্যু কখনই প্রমাণ করে না করোনা মহামারী তৈরী করেছে। অথচ প্রতিদিন বাংলাদেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর হার প্রায় আড়াই হাজারের মত। উপরন্তু এই ৩০-৩৫ জনের অধিকাংশ বার্ধক্যজনিত ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় মৃত্যুবরণ করেছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে অনেকেই অহেতুক আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।
“ফতহুল বারী”কিতাবের ১০ম খ-ের ১৮৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহামারী হলো এমন এক শাস্তি যা বনী ইসরাইলের একটি সম্প্রদায়ের উপর প্রেরণ করা হয়েছিল।…আর এই মহামারীতে প্রতি ঘন্টায় উক্ত সম্প্রদায়ের ২০ হাজার লোক মারা যায়। তবে কেউ কেউ বলেছেন, উক্ত মহামারীতে প্রতিঘন্টায় ঐ সম্প্রদায়ের ৭০ হাজার লোকমারা যায়।
মানববন্ধনে নিন্মোক্ত ৭ দফা দাবী তুলে ধরেন-
১. ‘করোনা ছোঁয়াচে ও মহামারী’- ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রণীত এবং তার সাথে হেফাজতী ও তাবত ধর্মব্যবসায়ী উলামাদের দ্বারা সমর্থিত এ ফতওয়াকে রাজারবাগ শরীফ সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং কোটি টাকার চ্যালেঞ্জসহ প্রকাশ্য বাহাসের আমন্ত্রণ জানিয়েছে ওলামা লীগও নির্ভরযোগ্য ইসলামী দলীলের প্রেক্ষিতে রাজারবাগ শরীফের সাথে একমত পোষণ করে করোনা ছোঁয়াচে ও মহামারী- এ ফতওয়াকে চ্যালেঞ্জ করছে এবং বাহাসের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। কারণ এভাবে করোনা আতঙ্ক বিস্তার করলে দেশ পিছাতে থাকবে, সরকার হিমশিম খাবে।
২. করোনার অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ও মাদরাসা বন্ধ করা, ফাক ফাক করে নামাজে দাড়ানো, ৫ জনের বেশি মুছল্লী না হওয়া, মাঠে ঈদের জামায়াত করতে না দেয়া ওহাবী-জামাতপন্থীদের ষড়যন্ত্রমূলক ফতওয়া। যা সম্পূর্ণ কুফরী হয়েছে। দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান এতে সরকারের প্রতি যারপর নাই ক্ষুব্ধ হচ্ছে। এটা জামাতী ওহাবীদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করতে হবে।
৩. বিএনপি-জামাতসহ সরকার বিরোধী সব দল এমনকি মুনাফিক কওমী মালানারা, সরকারকে বেকায়দায় ফেলে ফায়দা লোটার জন্য লকডাউনের পক্ষে একাট্টা কিন্তু লকডাউন কোন সমাধান নয় এবং আত্মঘাতী। ওলামা লীগের আহ্বান সরকার যেন লকডাউনের পাতা ফাঁদে পা না দেয়। জনগণকে কষ্ট না দেয়। অর্থনীতি ধ্বংস না করে। উন্নয়ন ব্যাহত না করে।
৪. সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল এবং অনেক ডাক্তার রোগীদের সাথে চরম অমানবিক ব্যবহার করছে এবং নির্বিকার ও নিষ্ক্রিয় থেকেছে। এতে অনেকে এমনকী বড় বড় আ’লীগ নেতাও মারা গেছে। পাশাপাশি অনেক হাসপাতাল বহুগুণ চার্জ করে রোগীদের নিঃস্ব করেছে। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. আগামী পবিত্র কুরবানীতে করোনার মিথ্যা প্রচারনা, আতঙ্ক শক্ত হাতে বন্ধ করতে হবে। পবিত্র কুরবানী যাতে বাধাগ্রস্থ না হয়, গরীবের হক্ব যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে। চামড়া নিয়ে কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র ও সিন্ডিকেট বরদাশত করা হবেনা।
৬. পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে মহামারীর যে সংজ্ঞা তা করোনার সাথে কোনোমতেই মিলেনা। মূলতঃ করোনা গযব। এর থেকে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা-ইস্তেগফার, বেশি বেশি পবিত্র মীলাদ শরীফ পড়তে হবে এবং পবিত্র সুন্নতী খাবার খেতে হবে।
৭. এক শ্রেণীর মিডিয়া দেশের সামগ্রিম অর্থনীতি, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর, সাধারণ মানুষের তথা মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, দরিদ্র, অতিদরিদ্র, ভাসমান মানুষ তাদের স্বার্থের দিক না ভেবে দেশের অর্থনীতি, উন্নয়ন ও দেশের কথা না ভেবে শুধু উচ্চবিত্তের স্বার্থে এবং নিজেদের অপসাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখার জন্যে নেতিবাচক খবর পরিবেশন করে। এদের কাছে মানবতার চেয়ে নিজেদের সাংবাদিক স্বার্থই বড়। অবিলম্বে এদেরকে এবং সব নেতিবাচক সংবাদকে শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। করোনা আতঙ্ক তৈরী করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বন্ধ করা যাবেনা।
সমাবেশ ও মানববন্ধনে সমন্বয় করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি- পীরজাদা, বর্ষীয়ান বিপ্লবী জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী সহ আরো অন্যান্যা নেতাকর্মীবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ চেয়ারম্যান- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার। মিছিল শেষে শহীদ বঙ্গবন্ধুর রূহের মাগফিরাত কামনা করে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হায়াতে তৈয়বার জন্য দোয়া মোনাজাত করেন- আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী।