স্বর্ণ কিনছে রাশিয়া-চীন: বাড়ছে দাম
আন্তার্জাতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম গত দুই মাসে ১১ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে বছর বছর গড়ে ১.৬ শতাংশ হারে সোনার দাম বেড়ে চলেছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, মার্কিন ডলারের বিকল্পে চীন ও রাশিয়া অব্যাহত ভাবে সোনা কেনার কারণে দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
যুক্তরাজ্যের একটি হেজ ফান্ড বা তহবিল ওডে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক ক্রিসপিন ওডে বলেছেন, সোনা কেনা নিয়ে যে কাড়াকাড়ি লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা অপ্রত্যাশিত। গত বছর সোনার দাম কমে যাওয়া উচিত ছিল। প্রতি আউন্সে এর দাম হওয়া উচিত এক হাজার ডলার। কিন্তু তা তো হয়ই নি বরং দাম দাঁড়িয়েছিল বারোশ ডলার। স্বর্ণ বাজারে একটা কিছু ঘটছে বলে জানান তিনি।
এ দিকে সে থেকে সোনার দাম ক্রমেই বাড়ছে। গত মঙ্গলবার এর দাম ছিল এক হাজার চারশ ২৮ দশমিক সাত পাঁচ ডলার।
গত জানুয়ারি মাস থেকে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৯৬.৪ টন সোনা মজুদ করছে। অন্যদিকে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে চীন কিনেছে ৭৪ টন সোনা। সোনা কেনার এ তৎপরতা হ্রাস পাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
গত সপ্তাহে রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিশ্চিত করেছে যে দেশটির স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ জুলাই মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত ১০০.৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। জুন মাসে দেশটির সোনা মজুদ খাতে আরও ১৮ টন যোগ হয়ে দেশটির মোট সোনা মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২০৮ টন। দেশটি ডলারের মজুদ কমিয়ে আনার যে তৎপরতা শুরু করেছে তারই অংশ হিসেবে ক্রমেই বাড়ছে হলুদ ধাতুর মজুদ । এদিকে দেশটিতে মার্কিন বন্ডের মজুদ ১২ বিলিয়ন ডলারে এসে ঠেকেছে। ২০০৭ সালের পর দেশটির এ খাতে বিনিয়োগ এতোটা হ্রাস পায় নি।
ওডে বলেছেন, মার্কিন ডলারের আধিপত্য থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টার অংশ হিসেবে সোনাকে বেছে নেয়াই স্বাভাবিক। সোনার দাম বাড়া নিয়ে অতীতে নানা সংশয় থাকলেও তারপরও হেজ তহবিল এ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন। এ বিনিয়োগ করার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে যেয়ে জানায় সে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যা করছে সে কাজই আপনার করা উচিত।
হেজ তহবিল বা ফান্ডকে বিকল্প বিনিয়োগের অন্যতম পদ্ধতি হিসেবে ধরা হয়। এ তহবিলের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে গ্রাহকদের বিনিয়োগের ওপর সর্বোচ্চ মুনাফা এনে দেওয়া। স্বল্পতম সময়ে দ্রুত মুনাফা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে এ তহবিল গ্রাহকদের বিনিয়োগকৃত অর্থকে বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করে। ঝুঁকিপূর্ণ বাজার থেকে সাধারণত সবচেয়ে দ্রুত লাভ করা যায়। তাই এই ঝুঁকিপূর্ণ বাজারেই তারা বেশি বিনিয়োগ করে।-পার্সটুডে