অবশেষে বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ শর্ত পুনর্বহাল

Bangladesh passport returned except isarel

বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ বা ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনরায় বহাল করা হয়েছে।

গত ৭ এপ্রিল তারিখে উপসচিব নীলিমা আফরোজের সই করা একটি প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নীলিমা আফরোজ।

এতে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে পূর্বের ন্যায় বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহালের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ লেখা ছাড়া যেসব পাসপোর্ট এর আগে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাতিল হবে না।এই আদেশ দেওয়ার পর নতুন করে যত পাসপোর্ট হবে সেখানে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ লেখা থাকবে। 

সূত্র জানায়, ৮০ বছর ধরে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্বের জের ধরে বাংলাদেশ শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের পক্ষে। বাংলাদেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দেওয়ার কারণে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। এ প্রেক্ষাপটেই পাসপোর্টে লেখা থাকত ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’।কিন্তু ২০২০ সালে ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার পর সেখানে লেখা থাকছে ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’। ওই সময় ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দটি বাদ দেওয়ার বিষয়ে কোনো ঘোষণাও দেওয়া হয়নি। এর মধ্যেই গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্টে এই পরিবর্তনের বিষয়টি সামনে আসে। ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।এরপর বিভিন্ন সময় পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ যুক্ত করার দাবি তোলা হয়েছে বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে। 

বিশেষ করে ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন ও স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির নেতৃবৃন্দ যৌথভাবে বাংলাদেশের ই-পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরাইল’ (ইসরাইল বাদে) শব্দ দুটি ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে ২৩ মার্চ, ২০২৫ রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর আগারগাঁওয়ে জাতীয় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সামনে সমাবেশ করে এ দাবি জানায়।

‘এক্সেপ্ট ইসরাইল’ শব্দ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রো-ইসরাইলি কোম্পানির সব পণ্যসহ আওয়ামী আমলে ক্রয়কৃত নজরদারি প্রযুক্তি পেগাসসকে নিষিদ্ধ করা এবং ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে সর্বোচ্চ ইসরাইলি বিমান ভূপাতিত করার রেকর্ডধারী বাংলাদেশি বৈমানিক সাইফুল আজমের নাম ও বিমানের ছবিকে পাসপোর্টের জলচ্ছাপে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানানো হয়।

সমাবেশে মূল বক্তব্য পাঠ করেন ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ রিফাতুল ইসলাম। এ ছাড়া অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আমজনতার দলের সভাপতি মুহম্মদ তারেক রহমান, সিয়ান পাবলিকেশনের কর্ণধার আবু তাসমিয়া আহমদ রফিক, ইনকিলাব মঞ্চের সভাপতি শরীফ ওসমান হাদী, স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মুহিউদ্দিন রাহাত ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ।