পশু কুরবানি নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসককে আইনি নোটিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল আযহাতে পশু কুরবানি নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবিএম আব্দুল্লাহকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাতের সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুবুল আলম । সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মাসুদুজ্জামান তিনি নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে মাসিক আল বাইয়্যিনাতের সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুবুল আলম জানান, গত ৪ জুলাই ২০২০ তারিখে দৈনিক প্রথম আলোর একটি মন্তব্য প্রতিবেদনে এবিএম আব্দুল্লাহ জানায় ‘যারা একাধিক পশু কুরবানি দিতেন তারা এবার একটা কুরবানি দিন; বাকিগুলোর টাকা শহর ছেড়ে গ্রামে ফেরা নিরূপায় কর্মহীন এবং অতি দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করতে পারেন, এতে দরিদ্র মানুষগুলোর উপকার হবে’। এই বক্তব্যে আসন্ন পবিত্র কুরবানিতে কুরবানি দেয়া কুরবানিদাতাগণ বিভ্রান্তির শিকার হতে পারেন।
নোটিশদাতা আরও জানান, পবিত্র ঈদুল আযহা এবং পশু কুরবানি মুসলিমদের একটি দ্বীনি ইবাদত। একজন সামর্থ্যবান মুসলিম কতটি পশু কুরবানি করবেন, সেটি পবিত্র শরীয়ত উনার বিধান দ্বারা নির্ধারিত হয়। তথাকথিত ‘করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি’র সাথে পবিত্র কুরবানি উনার মতো একটি দ্বীনি ইবাদত কমানো বা বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই। সাংবিধানিকভাবে যেহেতু বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্বীন সম্মানিত ইসলাম সুতরাং ইসলামী আক্বীদাসমূহ রাষ্ট্র দ্বারা সুরক্ষিত। বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে নাগরিক হিসেবে মুসলিমদের নিজ দ্বীন পালনের অধিকার রয়েছে। অতএব একজন সামর্থ্যবান মুসলিম এই বছরও পবিত্র শরীয়তের বিধান অনুযায়ী একাধিক পশু কুরবানি দিতে পারবেন। অথচ নোটিশগ্রহীতা ব্যক্তি বাংলাদেশের মুসলিমদেরকে একাধিক পশু কুরবানি না দিতে আহবান জানিয়েছে। পশু কুরবানির ওয়াজিব বিধানের বিকল্পে দরিদ্রদের নফল সদকা করার পরামর্শ দিয়েছে। একজন দায়িত্বশীল পদাধিকারী হিসেবে আপনার কাছে এমনটা মোটেও প্রত্যাশিত নয়।
পরিশেষে নোটিশদাতা এই নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে পশু কুরবানি নিয়ে এবিএম আব্দুল্লাহর আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানানো হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।