বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামসহ আশেপাশের এলাকা থেকে গরু, মহিষ ও ছাগলের এসব চামড়া পাওয়ার কথা জানিয়েছেন আড়তদাররা।
তারা আশা করছেন, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আরও দেড় থেকে দুই লাখের মত লবণ দেওয়া কাঁচা চামড়া আড়তে এসে পৌঁছাবে।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতি লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল কাদের বলেন, তাদের সমিতিভুক্ত ১১২ জন এবং বাইরের ৭২ জন মিলিয়ে দুইশর মত আড়তদার এবার চট্টগ্রাম অঞ্চলে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করছেন।
“এবার চট্টগ্রামে চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখের বেশি। ইতোমধ্যে সাড়ে তিন লাখের মত বিভিন্ন পশুর চামড়া আমাদের হাতে এসেছে।”
এর বাইরে বিভিন্ন উপজেলার ব্যবসায়ীরা আরও দুই লাখের মতো চামড়া সংগ্রহ করে লবণ দিয়ে রেখেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তিন-চারদিনের মধ্যে এসব চামড়া আড়তে এলে মোট চামড়ার পরিমাণ সাড়ে পাঁচ লাখের মত হবে।”
এবার ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার সরকার নির্ধারিত দর ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। কিন্তু মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সামান্য বেশি দামেই চামড়া কিনতে হয়েছে বলে দাবি করছেন আড়তদাররা।
আবদুল কাদের বলেন, “আমরা প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া কিনেছি ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে ঠিকদামে বিক্রি করতে না পারলে আমাদের লোকসান গুণতে হবে।”
নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আতুরার ডিপো এলাকাতেই চট্টগ্রামের অধিকাংশ চামড়ার আড়ত। সেখানে কাঁচা চামড়া সংগ্রহের পর লবণ দিয়ে সংরক্ষণের কাজে এখন দারুণ ব্যস্ততা।
চট্টগ্রামের আড়তদার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামের ট্যানারি দুটো এবার বন্ধ থাকায় ঢাকার মালিকদের কাছেই সব চামড়া বিক্রি করতে হবে।
এক দেড় মাস পর ঢাকার ট্যানারি ব্যবসায়ীরা এসব চামড়া আড়তদারদের কাছ থেকে কিনে নেবেন।