যুগে যুগে ধর্মব্যবসায়ীরা দ্বীন ইসলামের চরম ক্ষতি সাধন করেছে

লে. কর্নেল মুহম্মদ আনোয়ার হুসাইন খান, পিএসসি (অব.): শের শাহ শূরীর নিকট পরাজিত সম্রাট আকবরের পিতা সম্রাট হুমায়ূন যখন সপরিবারে পলায়ন করছিল, তখন বর্তমান পাকিস্তানের অমরকোটে এক রাজপ্রাসাদে আকবরের জন্ম। প্রথম জীবনে লেখাপড়ার সুযোগ না পেলেও বৈরাম খাঁর নিকট যুদ্ধ বিদ্যায় হাতেখড়ি তার। অপরিণত বয়সেই তাকে সাম্রাজ্যের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। প্রথম জীবনে আকবর ছিলো দ্বীনদার আলিম এবং ওলীআল্লাহগণ উনাদের ভক্ত। এক যুদ্ধে বিজয়ের পর নগ্ন পায়ে হেঁটে সুলতানুল হিন্দু গরীব নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবারের উপস্থিত হয়েছিলো। দ্বীনের প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস ভক্তির কারণে উলামাদের সে ভালোবাসতো।

এই সুযোগে মোল্লা মুবারক নাগরী, আবুল ফজল, ফায়েজীর মতো ধূর্ত উলামায়ে ‘সূ’রা সম্রাটের নৈকট্য লাভ করে এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে তাকে বিভ্রান্ত করে। আকবরের মূর্খতার সুযোগে তাকে ‘দীন-ই-ইলাহী’ নামে নতুন ধর্ম প্রবর্তন করতে উৎসাহিত করে। দীন-ই-ইলাহীর মাধ্যমে পবিত্র দ্বীন ইসলাম ধ্বংস করাই ছিল দুর্বৃত্তদের মূল উদ্দেশ্য।

মহান আল্লাহ পাক তিনি শায়েখ হযরত আহমদ সিরহিন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি; যিনি একাদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ বা মুজাদ্দিদে আলফে ছানী নামে খ্যাত, উনাকে পাঠিয়ে দীন-ই-ইলাহী ধ্বংস করে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে জিন্দা করেন।
শয়তানের অনুসারী উলামায়ে ‘সূ’রা ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল এবং বর্তমানে এই উলামায়ে ‘সূ’রা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার চরম ক্ষতিসাধনে এবং সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে ব্যস্ত।