সিনহার পদত্যাগ: ভারতীয় গণমাধ্যমে সরকার বিরোধী বিষোদগার
দুর্নীতি করে ও নৈতিকস্খলন ঘটিয়ে অবশেষে প্রধান বিচারক পদ থেকে সিনহার পদত্যাগ করেছে। এটা নিয়ে মায়া কান্না শুরু করেছে ভারতীয় মিডিয়া। বিষোদগার করছে বাংলাদেশ সরকারের। গতকাল ভারতীয় মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হয়- “সরকারের চাপে ‘প্রথম হিন্দু’ প্রধান বিচারক সিনহার পদত্যাগ” শিরনামে। খবরে বলা হয়-
“শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলো ‘বাংলাদেশের প্রথম হিন্দু’ প্রধান বিচারক সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। জুমুয়াবার কানাডা যাওয়ার পথে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন মারফত রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেয়। ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করায় বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লীগের রোষের মুখে পড়েছিলো সিনহা। শনিবার দুপুর ঢাকার বঙ্গভবন থেকে জানানো হয়েছে, সিনহা পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কোনও প্রধান বিচারক পদত্যাগ করেনি। ২০১৫ সালে ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রথম হিন্দু প্রধানবিচারক হয় এসকে সিনহা। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদ ছিল তার।
সম্প্রতি ষোড়শ সংশোধনীতে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সংসদ। সেই সংশোধনী বাতিল করে প্রধান বিচারক। পাশাপাশি তার পর্যবেক্ষণের কপি তুলে দেয়া হয় ওয়েবসাইটে। বিচারব্যবস্থায় সরকারের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে মত দিয়েছিলো সিনহা। আর সেটাই মেনে নিতে পারেনি শেখ হাসিনার দলের নেতা-মন্ত্রীরা।
চাপের মুখে ছুটি নিতে বাধ্য হয় সিনহা। ৩ অক্টোবর থেকে ছুটি নেয় সিনহা। ১৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার মেয়ের কাছে যায়। এরপরই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, আর্থিক বেনিয়ম ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়। অস্ট্রেলিয়া থেকে আর দেশে ফেরেনি সিনহা। কানাডায় আর এক মেয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে পদত্যাগপত্র জমা দেয়।” (সূত্র: ভারতীয় অনলাইন জি নিউজে প্রকাশিত রিপোর্ট)