বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লুটে গভর্নর সব জানতেন : আলী আশরাফ
ঢাকা: “বাংলাদেশ ব্যাংকে এতবড় ঘটনা হয়ে গেল। গভর্নর নীরবে জানলেন কিন্তু সরবে বাহবা নিয়ে চলে গেলেন কীভাবে? উনি সব জানতেন। চোর সবটাই নিয়ে যেত, দেউলিয়া হয়ে পড়তাম। এর দায়-দায়িত্ব কার?”
বুধবার সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বজেটের ওপর আলোচনায় রিজার্ভ চুরির ঘটনায় গভর্নরকে দায়ি করে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য আলী আশরাফ এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানের সমালোচনা করেন তিনি। পাশাপাশি আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সংসদের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নড়বড়ে হয়ে গেছে। খেলাপি ঋণ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা কার কাছে?
“হলমার্ক-বেসিক ব্যাংক নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলতে বলতে অবসাদগ্রস্ত।”
পরে আলোচনায় অংশ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের আরেক সদস্য ইসরাফিল আলম বলেন, “জনগণ চায় আর্থিক খাত শক্তিশালী হোক, কারণ তারা এর সুফল ভোগ করতে চায়। সেটা হচ্ছেও। কিন্তু গ্রাম থেকে শহরে মানুষের স্রোত কেন থামানো যাচ্ছে না?
“গ্রামের উন্নয়নে কী হচ্ছে? ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল থেকে শুরু করে সব রাজধানীতে। গ্রামের উন্নয়নের কথা বলবেন আর সবকিছু রাজধানীতে করবেন- এটা করলে হবে না।”
নওগাঁর এই সংসদ সদস্য রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে বৈষ্যমের অভিযোগ তুলে বলেন, “গত আট বছরের উন্নয়নের চিত্র দেখতে হবে। রেলের বড় বড় প্রোজেক্টের ফলাফল কী? বিল নিয়ে গেছে, কাজ হয়নি।”
সংসদে উপস্থিত রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সিলেট-চট্টগ্রাম গেলে হবে না। চলেন আমার সাথে, খুলনা, নওগাঁ, রাজশাহী চলেন। সেখানে কয়টা ফার্স্ট ক্লাস দিয়েছেন? শান্তাহারের সঙ্গে ১১ জন সংসদ সদস্য জড়িত। সেখানে ফার্স্ট ক্লাস দেননি। এগুলো বন্ধ করেন। না হলে নৌকার জোয়ার আসবে না।”