রিমান্ডে থাকা ফাহিম ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

ঢাকা: মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীর উপর হামলার সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিম পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
শনিবার সকালে মাদারীপুরের বাহাদুর এলাকার মিয়ারচরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনি নিহত হন বলে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সারওয়ার হোসেন জানিয়েছেন। পরে তার লাশ মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ।

তবে নিহত ফাহিমের হাতে হাতকড়া ছিল বলে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। তার বুকের বাম পাশে রক্তাক্ত জখমও দেখা গেছে।

গতকাল শুক্রবার গোলাম ফয়জুল্লাহ ফাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছিল আদালত।

শুক্রবার মাদারীপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে শুনানি শেষে বিচারক মো. সাইদুর রহমান তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিপন চক্রবর্তীর ওপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় মামলা হয়। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন, সালমান তাকসিন ওরফে আবুল হোসেন ওরফে শালিম (১৮), শাহরিয়ার হাসান ওরফে পলাশ (২২), জাহিন (২৩), রায়হান (২৪), মেজবাহ (২৪) ও ফাহিম (২০)। মামলায় ফাহিমকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর ওপর গত বুধবার বিকেলে হামলা হয়। কলেজের পাশে নিজ বাসায় তাকে কুপিয়ে জখম করে তিন দুর্বৃত্ত। এ সময় স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিয়ে ফাহিমকে আটক করে পুলিশে দেয়।
রিপন চক্রবর্তী এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গ্রেপ্তার হওয়া ফাহিম মা-বাবার সঙ্গে রাজধানীর দক্ষিণখানের ফায়দাবাদে একটি পাঁচতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় থাকতেন। উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে ২০১৪ সালে ওই কলেজে ভর্তি হন। এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি।

পুলিশ বলেছে, ফাহিমকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হামলার কারণ ও তার সহযোগীদের ধরতে পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও র‌্যাব কাজ করছে।
ফাহিমের ঢাকার বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের পাশাপাশি তার ব্যবহৃত কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে।