রেলে পণ্য পরিবহনের সুবিধা পাচ্ছেনা রাজশাহীর ব্যবসায়ী-কৃষকেরা, বাড়ছে মূল্য

রাজশাহী: রেলের পশ্চিমাঞ্চলে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনের সুযোগ পাচ্ছেনা রাজশাহীর ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা। কমছে স্বল্প দুরত্বে মালামাল পরিবহনের সুবিধাও। সড়কে পণ্য নিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতায় বিকল্প হিসেবে রেলপথ সুবিধা চাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে রেলের পশ্চিমাঞ্চল কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কমতিসহ নানা জটিলতার কারণে এখন পণ্য পরিবহন সম্ভব নয়।

এক সময় এ অঞ্চলে বাণিজ্যিক পরিবহণে অপরির্হায্য ছিল রেলরুট। তবে দিনে দিনে সঙ্কুচিত হয়েছে সে পথ। রাজশাহী-ঢাকা রুটে সরাসরি একাধিক ট্রেন চলাচলের এক যুগের বেশি সময়েও বাণ্যিজিক সুবিধা মিলছেনা। এ সুবিধা নেই সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া ও ভারত থেকে আনা নতুন কোচেও। এতে সড়ক পথেই গন্তব্যে যাচ্ছে কৃষিপণ্য। সড়কে অবরোধ, ধর্মঘট, দুর্ঘটনা ও চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে বাড়ছে পরিবহন ব্যয়। পরিবহন সংগঠনগুলোর হিসাবে কেবল রাজশাহী থেকে সড়ক পথে প্রতিদিন ছয়শ ট্রাক তাজা মাছ, সবজি, ও অন্যান্য বাণিজ্যিক পণ্য যাচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। এতে পরিবহণ খরচ ছাড়িয়েছে কোটি টাকা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, রেল সুবিধা পেলে অর্ধেকে নেমে আসবে এ খরচ। তবে পশ্চিমাঞ্চল রেলের শীর্ষ কর্মকর্তা খায়রুল আলম বলছেন, ব্যবসায়ীরা মুখে বললেও তাদের আগ্রহ কম। আর ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, সুবিধা পেলে রেলকে পণ্য যোগান দিতে সক্ষম তারা।

বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) জেনারেল ম্যানেজার খায়রুল আলম বলেন, ‘যখন ৯৩ দিন হরতাল ছিল তখনও আমরা চেষ্টা করে দেখেছি স্পেশাল লাগেজ ভ্যান ঢাকা-রাজশাহী ও খুলনার সাথে বিভিন্ন বেল্টের সাথে চেষ্টা করে দেখেছি খুব লাভজনক হয়না।’ রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি মনিরুজ্জামান জানান, ‘সুবিধা পেলে রেলকে পণ্য যোগান দিতে সক্ষম তারা’ নতুন ট্রেনে কারিগরি সমস্যা ও বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন পরিবহনে সমস্যা থাকায় অতিরিক্ত কিছু এখনই সম্ভব নয় বলে জানালেন খাইরুল আলম।

রেলের পশ্চিমাঞ্চলের দেয়া তথ্য মতে, রাজশাহী থেকে চলাচলকারী তিনটি লোকাল ও মেইল ট্রেনের একটি ল্যাগেজ ভ্যান রয়েছে। এতে পরিবহন সময় বেশি লাগায় কিছু ওষুধ ও বোর্ডের পরীক্ষার খাতা ছাড়া বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহন হচ্ছে না।