গুলশানে অস্ত্র হামলা: আইএস কি দায় স্বীকার করবে?

মাশহুদূর রহমান মুবাশশির: কিছুদিন আগে উত্তরার খালে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ধরা পড়লো। তখনই কিছুটা আঁচ করেছিলাম ঢাকায় বড় ধরণের কোন নাশকতার ঘটতে পারে। ‘বাংলাদেশে আইএস আছে’ প্রমাণ করতে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা যেভাবে উঠেপড়ে লেগেছে তাতে এরকম বন্দুক হামলার ঘটনাকে স্বাভাবিক ধরে নেয়া যায়।

উত্তরার খালে বিপুল গোলাবারুদ-অস্ত্র ধরা পড়ার কিছুদিন না যেতেই গতকাল গুলশানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটলো। র‌্যাবের মেজরসহ ২৫জন পুলিশ গুলিবিদ্ধ হলেন। গুলিবিদ্ধ একজন ‍ওসি হয়ে মারা গেলেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে- যারা আল্লাহু আকবার বলে তাকবির দিয়ে বন্দুক হামলা ও বোমা হামলা চালালো, তারা আসলে কারা? তাদেরকে গ্রেফতার করে ‘বাপের নাম ভুলানো’ রিমাইন্ড দিলে তাদের আসল পরিচয় হয়তো বের হবে।

যারা অস্ত্র-গোলাবারুদ আমদানী করছে তারা কারা? তাদের চিহ্নিত করতে না পারলে সরকারের ভিত তারাই নাড়াবে- এতে অন্তত আমার কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চয় তাদের ক্ষমতার শেকর অনেক গভীরে। সেই শেকরের সন্ধান করলে কেঁচো খুড়তে সাপও বেরোতে পারে। মার্কিন দূতাবাসের কোন যোগসূত্রিতাও পাওয়া যেতে পারে।

পাশাপাশি মিডিয়া অতিউৎসাহি হয়ে লাইভ প্রচার করে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে- এটাও স্পষ্ট। এজন্য পুলিশ লাইভ সম্প্রচার করতে নিষেধও করেছে। কিন্তু মিডিয়া তাদের কাজ করেই যাচ্ছে।

বন্দুক হামলা একটি দেশে ঘটতেই পারে, যেখানে আমেরিকায় প্রতিদিন এরকম অস্ত্রধারীদের গুলিতে শতশত মানুষ মরছে। একসাথে ৫০জন, ১০০জন মানুষ মরছে। আমেরিকার স্কুলের শিশুরাও নিরাপদ নয়। কৈ? তাদের দেশের এসব বন্দুক হামলার খবরতো তারা এতো ফলাও করে প্রচার করেনা।

আসল কথা হলো, ঐ হামলাকারী সন্ত্রাসী দল ও মিডিয়া এক জলাধারের একই স্তরের খাদক। যারা ‘বাংলাদেশে আইএস আছে’ প্রচারণায় মদদ দিচ্ছে তারাও একই স্তরের খাদক।

এই হামলা ইস্যুতেও হয়তো আইএস দায় স্বীকার করে বলবে আমরাই গুলশান হামলা চালিয়েছি। আইএস’র স্বীকারোক্তির এ তথ্যটাও হয়তো প্রকাশ করবে বিশ্ব সন্ত্রাসী মার্কিন নিয়ন্ত্রিত সাইট ইন্টেলিজেন্স।

লেখক: ব্লগার