গভীর সঙ্কটে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি

ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পাক কুন হে এর পদচ্যুতি এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিকে চরম অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিল। অবশ্য এছাড়া আরো কিছু গুরুতর বিষয় রয়েছে যা বিশ্ব অর্থনীতিকেও নাড়িয়ে দেবে।

গত শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানকি আদালত পাক কুন হে’র অভিশংসন বহাল রেখেছে। তার প্রশাসনের দুর্নীতি কেলেঙ্কারি গত কয়েক মাস ধরে দেশটিকে এক ধরনের রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। আদালতের রায়ের পর এখন ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেয়া বাধ্যতামূলক হয়ে গেল।

পাক কুন হে প্রশাসনের কেলেঙ্কারি পুরো দেশকে স্তব্ধ করে দিয়েছে, অন্য সমস্যাগুলোকে আরো ত্বরান্বিত করেছে। প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতি এনেছে এবং ভাবমূর্তি ধূসর করে দিয়েছে।

এদিকে, প্রশাসনিক পর্যায়ে যে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে ক্ষমতা হারালো প্রেসিডেন্ট পাক কুন হে সেই দুর্নীতির সাথে নাম এসেছে দেশটির শীর্ষ কোম্পানিগুলোরও, এর মধ্যে অন্যতম হলো: স্যামসাং।

এই জায়ান্ট কংগ্লুমারেটটির কার্যত প্রধান লি জে ইয়ং এখর জেলে। তার বিরুদ্ধে ঘুষ এবং অন্যান্য অভিযোগ আনা হয়েছে। সে এবং স্যামসাং এর অন্য নির্বাহীরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের কয়েক বছর কারাদ- হতে পারে।

স্যামসাং এর এই সমস্যা আরো জটিল আকার নেবে যদি কোম্পানিতে নেতৃত্বশূন্যতা সৃষ্টি হয়, এটি হলে কৌশলগত এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিলম্বিত হবে। এই জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ কোরিয়ার ১৫ শতাংশ অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে।
অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ  জাহাজ শিল্প প্রায় ধ্বংসের মুখে। বিশ্ব বাণিজ্যে মন্দার কারণে শিপিং এবং জাহাজ শিল্পে বড় ধরনের সঙ্কট তৈরি হয়েছে। অনেক বেশি কন্টেইনার শিপ কিন্তু যথেষ্ট কার্গো না থাকায় বড় বড় কোম্পানিগুলো নেতিয়ে পড়েছে।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কার্গো কোম্পানি হানজিন শিপিং গত বছরই বন্ধ হয়ে গেছে। সরকার শিপিং কোম্পানিগুলোকে বাঁচিতে রাখতে কয়েক বিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর ফল স্বরূপ চাকরি হারাবে হাজার হাজার মানুষ।