ঈদুল ফিতরের নামায কোথায় কখন

ঢাকা: রাজধানী ঢাকায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামায়াত হয় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। এবারও এই প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হলে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররমের জামায়াতই ঈদের প্রধান জামায়াত হবে বলে ধর্ম সচিব আব্দুল জলিল গত ১৪ জুন সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে বৃহস্পতিবার সকালে ঈদের প্রধান এই জামায়াতে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ইমামতি করবেন বলে ইসলামিক ফাউশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদেও ঈদের পাঁচটি জামায়াত হবে।

বায়তুল মোকাররমে ঈদের দিন সকাল ৭টা থেকে এক ঘণ্টা পর পর মোট পাঁচটি জামায়াত হবে বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়েছে।

প্রতিবারের মতো এবারও দেশের বৃহত্তম ঈদ জামায়াত হবে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। ঈদের দিন সকাল ১০টায় এই জামায়াত পরিচালনা করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ও বনানী দরবার শরীফে ঈদের জামায়াত সকাল সাড়ে ১০টায় হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে প্রতিবারের মতো বাংলাদেশের সর্বপ্রথম জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে রাজারবাগ পুলিশ লাইন ৩নং গেইট সংলগ্ন সুন্নতি জামে মসজিদে। রাজারবাগ দরবার শরীফের সুন্নতি জামে মসজিদে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টায়।

এতো সকালে ঈদের জামায়াত হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসার একজন ছাত্র বলেন, পাঞ্জেগানা নামাযের ন্যায় পবিত্র ঈদের নামায কোন সময় আদায় করতে হবে সে সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে যে, “হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র ঈদের দিন ফজরের নামায পড়ে হুজরা শরীফ যেতেন এবং সকাল সকাল গোসল করে পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার দিন হলে বেজোড় সংখ্যক (৩, ৫ অথবা ৭টি) খোরমা খেজুর খেয়ে ঈদগাহে যেতেন। আর পবিত্র ঈদুল আযহা উনার দিন হলে কিছু না খেয়ে সরাসরি ঈদগাহে যেতেন এবং পবিত্র ঈদের নামাযের ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে পবিত্র ঈদের নামায আদায় করতেন। অতঃপর খুতবা দিতেন ও নছীহত করতেন।”

মুহম্মদ আব্দুল্লাহ নামে আরো একজন ছাত্র বলেন, আমাদের এখানে সবকিছুই সুন্নত মোতাবেক আমল হয়। আর ঈদের নামায খুব সকালে করাই সুন্নত। হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে, “হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আমর ইবনে হাযম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে নজরানের আমীর হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় চিঠি দিয়ে আদেশ করেন যে, ‘পবিত্র ঈদুল আযহার নামায খুব সকাল সকাল পড়বেন এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামায ঈদুল আযহা উনার চেয়ে অল্প একটু দেরিতে পড়বেন এবং নামাযের পরে মানুষকে নছীহত করবেন।’