নামাজের জন্য গেন্ডারিয়ার মসজিদ খুলে দেয়ার আহ্বান

ঢাকা: হিন্দু সম্প্রদায়ের বাধাপ্রাপ্ত রাজধানীর গেন্ডারিয়ার নির্মানাধীন মসজিদটি নামাজ আদায়ের জন্য খুলে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান  মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী  ও মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে ঐক্যজোট নেতৃবৃন্দ বলেন, মন্দিরের কাছাকাছি হওয়ার আজুহাতে মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধের আদেশকে অনভিপ্রেত আখ্যায়িত করে বলেছেন যে,  এতে ইবাদত-বন্দেগীবিহীন অবস্থায় থাকবে মসজিদটি।

মসজিদ মুসলমানদের সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু। মহান আল্লাহর দয়া ও সান্নিধ্য লাভ করতে মানুষ মসজিদে যায়। তাই গেন্ডারিয়ায় পূজামন্ডপের কাছাকাছি নির্মীয়মান মসজিদে নামাজ আদায়  বন্ধের একদেশদর্শী পদক্ষেপে দেশবাসি বিস্ময়ে হতাশ,  হতবাক ও ক্ষুব্ধ।

তারা আরো  বলেন, উপমহাদেশে মসজিদ-মন্দিরের সহাবস্থানের বহু নজির বিদ্যমান।  পূজামন্ডপের কাছাকাছি হওয়ার কারণে মসজিদ  বন্ধ করার যুক্তি ধোপে টিকেনা। কারণ এর আগে  সহাবস্থানের কারণে কোন মসজিদ বা মন্দির বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা যায়নি।

সরকারি খাস জমি যথারীতি বন্দোবস্ত নেয়ার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে  মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই মসজিদে নামাজ আদায়ে বিঘ্ন ঘটানো সম্বলিত আদেশ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের  অনবিজ্ঞজনিত মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তাই অবিলম্বে নামাজ আদায়ের জন্যে মসজিদ  খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গেন্ডারিয়ার মিলব্যারেক এলাকায় গুটি কয়েক হিন্দু পরিবারের জন্য পৃথক পৃথক পূজা মন্ডপ থাকলেও সেখানে ৫০টিরও অধিক মুসলিম পরিবারের জন্য নেই কোন মসজিদ। এলাকার বাসীন্দারা সামাজিক ফাউন্ডেশনের নামে নেয়া লিজকৃত সরকারি জায়গায় মসজিদ করতে উদ্দ্যেগী হলে তাতে বাধা দেয় বাহির থেকে আসা কিছু হিন্দু, যারা ঐ এলাকার বাসিন্দা নয়। মসজিদের জায়গাটি মন্দিরের ছিলো বলে দাবি করে বসে তারা। এদিকে একই এলাকায় বসবাসকারী হিন্দুরা স্বীকার করে বলছে, এই মসজিদের জায়গাটিতে তারা কখনো মন্দির দেখেনি। এটি মন্দিরের জায়গা নয়। এমনকি এখানে মসজিদ তাদেরও কোন আপত্তি নেই।

সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া স্থানীয়দের ভিডিও সাক্ষাৎকারে দেখা যায়, এলাকায় মসজিদ না থাকার কারণে সীমাহীন দুর্ভোগের কথা জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।