খেলাপি ঋণ ৬৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা

ঢাকা: ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সোমবার দশম জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য বেগম নাসিমা ফেরদৌসীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেজ রক্ষিত ঋণ তথ্যের ভিত্তিতে বর্তমানে (নভেম্বর-২০১৬) সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপি ব্যক্তি বা কোম্পানির সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৩২ জন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ শ্রেণীকরণ বিবরণী মোতাবেক বর্তমানে (সেপ্টেম্বর-২০১৬) ব্যাংকসমূহের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৮ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সুতরাং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর অপর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দারিদ্র্য বিমোচনে মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ অ্যাকাউন্ট (এমসিএ) থেকে অর্থ পাওয়ার জন্য মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ করপোরেশন (এমসিসি) কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সুশাসন, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং জনগণের জীবনমানের বিনিয়োগে এই তিনটি বড় সেক্টরে ২০টি সূচক/মানদ- অর্জন করতে হয়।

লিখিত প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী সূচকগুলো তুলে ধরে জানান, বাংলাদেশ সবগুলো সূচক অর্জন না করার কারণে এমসিএ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো অর্থ সহায়তা পাওয়া যায়নি। এমসিসি কর্তৃপক্ষের মতে, দুর্নীতি দমন সূচকে উত্তীর্ণ হওয়া অর্থ-সহায়তা প্রাপ্তির অন্যতম প্রধান শর্ত।

সেলিম উদ্দিনের আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১৯৫টি বিনিয়োগ এবং ১৫০টি কারিগরি প্রকল্পসহ মোট ৩৪৫টি বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

এসব প্রকল্পে চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিদেশি প্রকল্প সাহায্যের পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা। চলমান এ প্রকল্পসমূহে বিভিন্ন দাতাসংস্থা/দেশসমূহ কর্তৃক মোট প্রতিশ্রুতিকৃত অর্থের পরিমাণ ৩১ হাজার ৮৬০ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।