সৌদি আরব হামলার পর ইয়েমেনে এক বছরেই মারা গেছে ১০ হাজার শিশু

ডেস্ক: ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে ইয়েমেনে প্রায় প্রতিদিন সৌদি আরব ও তার আরব মিত্ররা বিমান হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলায় হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে; পাশাপাশি বহু হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্কুলসহ অগণিত ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। ডুজারিক বলেন, বিমান হামলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে ইয়েমেনে শত শত স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়েছে। এতে দেশটির পুরো স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে।

তিনি জানান, যুদ্ধের কারণে অর্থ ও বিদ্যুৎ সংকটে পড়ে ইয়েমেনে ৬০০টি স্বাস্থ্য-স্থাপনা বন্ধ হয়েছে। এছাড়া, অর্থের অভাবে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা-সরঞ্জাম কেনা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এসব শিশুর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হয়েছে। আসন্ন রমজান মাসের আগেই এই সংকটের সমাধান করার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। একই ধরনের মতামত দিয়েছেন ইয়েমেন বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইসমাইল ওলুদ শেখ আহমেদ।

সৌদি আরবের বোমা হামলার প্রভাবে ইয়েমেনে গত এক বছরে প্রায় ১০ হাজার শিশু মারা গেছে। চিকিৎসাহীন অবস্থঅয় পাঁচ বছরের কম বয়সী এসব শিশু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার মতো নিরাময় এবং প্রতিরোধযোগ্য রোগে মারা গেছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ তথ্য দিয়েছে।

২০১৫ সালে ইহুদীবাদী সৌদি আরব ইয়েমেনে বোমা হামলা করে হত্যা করেছে প্রায় ৯০০ শিশু। এক রিপোর্টে এ কথা বলেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।

এতে আরও বলা হয়েছে, ওই দেশটিতে এ সময়ে আহত হয়েছে ১৩০০ শিশু। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৫৬০টি শিশুর প্রতি ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার ঘটনা তারা শনাক্ত করেছে। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে শিশু নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে সাত গুন। প্রতিদিন গড়ে ৬ টি শিশুকে  হত্যা করা হয়েছে। শিশু হত্যা এবং নির্যাতনের বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে  তাইজ, সানা, সা’দা, এডেন এবং হাজ্জাহ এলাকায়। এ সব এলাকায় সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ এবং সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ড ঘটেছে।