ইউরোপজুড়ে তীব্র তুষারঝড়, নিহত অর্ধশতাধিক

ডেস্ক: ইউরোপজুড়ে প্রচ- তুষারঝড়ে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পোল্যান্ডেই মৃতের সংখ্যা ২৩ জন।
সাব-জিরো তাপমাত্রার (-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নিচে) তীব্র শীতে এলাকাগুলোতে খোলা আকাশের নিচে ঘুমানো দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বেহাল অবস্থা। তারাই তুষারপাতে মারা যাচ্ছে বেশি। তাই আরও প্রাণহানি ঠেকাতে উন্মুক্ত স্থানে বসবাসকারী এসব মানুষের জন্য বিশেষ আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।

ইউরোপের অনেক স্থানেই যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আয়ারল্যান্ডে বেশিরভাগ যান ও বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন দেশে ভারী তুষারপাত ও জমে যাওয়া বরফের কারণে হাজারো মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন যাপন করছেন।
এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণ হিসেবে সাইবেরিয়ান অঞ্চলের আবহাওয়া ব্যবস্থার পরিবর্তনকে চিহ্নিত করছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়ার এই চরম পরিবর্তনের ফলে ভয়াবহ শীত এবার ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রবল এ শৈত্যপ্রবাহকে বিভিন্ন দেশ আলাদা নামকরণ করেছে। যুক্তরাজ্যে একে বলা হচ্ছে ‘বিস্ট ফ্রম দ্য ইস্ট’ (পূর্বের দানব)। আবার ডাচরা একে বলছে ‘সাইবেরিয়ান ভাল্লুক’। অন্যদিকে সুইডেনে এই শৈত্যপ্রবাহকে বলা হচ্ছে ‘স্নো ক্যানন’ (তুষার কামান)।
বৃহস্পতিবার এই তুষারপাত ঘূর্ণিঝড় এমার সংস্পর্শে এসে ইংল্যান্ড ওয়েলস ও আয়ারল্যান্ডের বেশ কিছু অংশে ভয়াবহ তুষারঝড় এবং ঝড়ো বাতাসের সৃষ্টি করে।