তাইওয়ানের পর্যটন খাতে ধ্বস: মুসলিম পর্যটক আকর্ষণের উদ্যোগ

ডেস্ক: তাইওয়ানে এখন হালাল ফ্রাইড চিকেন থেকে শুরু করে হোটেলগুলোয় গরম ঝরনা আর নামাজ পড়ার জায়গা রাখা হচ্ছে। দেশটিতে চীনের পর্যটক কমতে থাকায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসলিম পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে তাইওয়ানের পর্যটন খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর এএফপি।

চীনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে তাইওয়ানে পর্যটকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। তাইওয়ান সরকারকে চাপে ফেলার জন্য বেইজিং সে দেশে পর্যটকদের যাতায়াতের ওপর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় তাইওয়ান ১৬টি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা করছে। এ নীতিকে বলা হচ্ছে দক্ষিণমুখী নীতি আর এ নীতির আওতায় এসব দেশ থেকে তাইওয়ানে আরো বেশি বেশি পর্যটক আকৃষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এর ফলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো থেকে আরো বেশি বেশি পর্যটক তাইওয়ানে ভ্রমণ করছেন। ২০১৭ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে তাইওয়ানে পর্যটক সংখ্যা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তাইওয়ান ছাড়াও এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান মুসলমানদের পর্যটন বাজার ধরতে চাইছে। সস্তা ফ্লাইট বেড়ে যাওয়ায় এবং মধ্যপ্রাচ্য ও ইন্দোনেশিয়ায় মধ্যবিত্তের আয়-রোজগার বেড়ে যাওয়ায় এ বাজার ফুলেফেঁপে উঠছে।

তাইপের অন্যতম দর্শনীয় স্থান চিয়াং কাই শেক মেমোরিয়াল হলের অদূরে একটি ছোট দোকান ফ্রাইড চিকেন মাস্টারও এ বাজার ধরার প্রচেষ্টায় সেখানে হালাল মুরগির গোশত বিক্রি শুরু করেছে।

সেখানকার মিনিবারগুলো অ্যালকোহল মুক্ত এবং কেকে শূকরের জিলোটিন থাকে না। খাবারগুলোর হালাল সনদ পেতে হোটেলের রান্নাঘরগুলোয় পৃথক রান্না ও খাওয়ার জায়গা রয়েছে।

গাইয়ার ব্যবস্থাপক জ্যাক চাং বলেছে, যেহেতু চীনের পর্যটক সংখ্যা কমে গেছে, এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনেক মুসলমান নিয়ে একটি বড়সড় বাজার, তাই আমাদের এ এলাকায় চেষ্টা করতেই হবে।

২০১৬ সালের মে মাসে প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন তাইওয়ানের ক্ষমতা গ্রহণের পর গত বছর সে দেশে চীনের পর্যটক পাঁচ ভাগের এক ভাগ কমে গেছে। ফলে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আরো বেশি মুসলিম পর্যটক আকৃষ্ট করতে চাইছে দেশটি।