প্রশ্ন ফাঁস: ৫২ মামলায় গ্রেপ্তার ১৫৩

ঢাকা: চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সারা দেশে ৫২ মামলা হয়েছে এবং তাতে ১৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রশ্ন ফাঁসে ব্যবহৃত ৩০০ মোবাইল ফোন নম্বর চিহ্নিত করে সেগুলো বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেসব ফোন নম্বরের মালিকদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু এসএসসি ও সমমানের বেশিরভাগ বিষয়ের প্রশ্নই এবার পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ফাঁস হয়েছে, সে প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে।
পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসকারীকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিলেও লাভ হয়নি।

এক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের পর বিভিন্ন ফেইসবুক ও মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে পরের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে নিয়মিত।
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানোর মরিয়া চেষ্টায় সরকার পরীক্ষা শুরুর সময় আড়াই ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখার উদ্যোগ নিয়েও পরে সমালোচনার মুখে সরে আসে।
এসএসসিতে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে করণীয় নির্ধারণে গত ৪ ফেব্রুয়ারি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আলমগীরকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়।

আলমগীর ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, চলতি এসএসসির অন্তত একটি বিষয়ের পুরো প্রশ্ন এবং কয়েটির আংশিক প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে কমিটি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন অনুষ্ঠানে বলেন, সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও কোনো রকমের ক্রটি-বিচ্যুতি ছাড়াই প্রতিনিয়ত কিছু মানুষ বিভিন্ন মিডিয়ার অমানবিক নিষ্ঠুরভাবে আমাদের আক্রমণ করে চলেছেন।

বিভিন্ন মিডিয়ার আমাদের অত্যাচার করছেন; যারা সমালোচনা করছেন, দোষারোপ করা ছাড়া একজনের কাছে একটি পরামর্শও পাইনি।
সোহরাব বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে প্রশ্ন ফাঁস হবে না- এমন শতভাগ নিশ্চিয়তা কেউ দিতে পারবে না। এখন এমন একটি পথে যেতে হবে, যেখানে প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব নয়। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে কিছু সংস্কারের প্রয়োজন আছে।

পরীক্ষা নিয়ে ‘প্রত্যেকে উদ্বিগ্ন’ মন্তব্য করে শিক্ষা সচিব বলেন, অনেক প্রস্তাব পাওয়া গেছে, পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। মন্ত্রী, সচিব প্রশ্ন ফাঁস করছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন, এগুলো আমাদের জন্য অমানবিক নির্যাতন।