আ.লীগের দেশপ্রেম নেই, আছে দিল্লিপ্রেম -রিজভী

ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছি না

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘বিএনপির মেরুদ- নেই’ আওয়ামী লীগের নেতাদের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আপনারা বলেন, বিএনপির মেরুদ- নেই? আমি বলব, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মেরুদ- নিউজপ্রিন্টের কাগজের মেরুদ-। যেমন সাদা কাগজের চেয়ে নিউজপ্রিন্ট ধরলেই ছিঁড়ে যায় তেমনি আওয়ামী লীগ নেতাদের মানব মেরুদ- নেই। তিনি বলেন, তারা লোপাট, দুর্নীতিবাজ ও চোর সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তাদের মানব মেরুদ- থাকলে সমর্থন দিত না। তিনি আরও বলেন, তাদের হৃদয়ে দেশপ্রেম নেই। আছে দিল্লিপ্রেম।

সোমবার এক দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী আহমেদ এসব কথা বলেন।

সরকারের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, আজকে দেশের অবস্থা বিপন্ন। দেশকে ভয়ঙ্কর অন্ধকারময় গুহার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন, বাবা-মা শিখিয়েছে ‘দেশকে কীভাবে ভালোবাসতে হয়।’ কিন্তু এই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেই ক্যাসিনোর খনি, জুয়া আর টাকার খনি তৈরি হয়েছে। যেমন, তার বাবা বলেছিলেন, সবাই পায় সোনার খনি, আর আমি পেলাম চোরের খনি। আজকে তাদের মুখে দেশপ্রেমের কথা শুনতে হয়। অথচ প্রধানমন্ত্রী এবং তার একজন সতীর্থ মতিয়া চৌধুরী হিন্দি ভাষায় কথা বলেন। তাদের মাঝে তো দেশপ্রেম নেই। তাদের হৃদয়ে দেশপ্রেম নেই। আছে দিল্লিপ্রেম।

রিজভীর বলেন, শেখ হাসিনার মন্ত্রী, এমপিরা ডাহা মিথ্যাচার করছেন। নির্দোষ লোককে মিথ্যা মামলায় জেল খাটাচ্ছেন। কই, প্রধানমন্ত্রী আপনার আমলে ৯ লাখ কোটি টাকা গেছে, তার জবাব তো দেননি? বেসিক ব্যাংকে আপনার লোকেরা টাকা লুট করেছে, তার জবাব তো দেননি। নির্দোষ লোককে আপনার আদালত, অনুগত বিচারক, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জেল খাটাচ্ছেন, সে বিষয়ে তো কিছু বলেননি। পুলিশ নির্লজ্জভাবে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনছে। এই তো উপহার দিয়েছেন আপনি। আজকে অর্থনীতিবিদ ও সিপিডি থেকে শুরু করে সবাই বলছে, ব্যাংকে টাকা নেই। অথচ তারা উন্নয়নের জোয়ারের কথা বলেন। আসলে প্রধানমন্ত্রী ও তার দলের লোকেরা ব্যাংকের টাকা লুট করে তাদের লজ্জা, শরম ব্যাংকে জমা দিয়েছেন। তাদের লজ্জা, শরম জমা আছে ব্যাংকের ভল্টে। তাই কথা বলতে প্রধানমন্ত্রীর লজ্জা লাগে না। তারা একের পর এক নির্দ্বিধায় মিথ্যা কথা বলছেন।

তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান না কি মালয়েশিয়ায় ফ্যাক্টরি তৈরি করেছেন। কই, আপনি ১০ বছরেও তার প্রমাণ দিতে পারেননি। আপনি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারা আপনার কথায় বিভ্রান্ত হবে না। আপনার নেতৃত্বে ৯ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। আপনার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টর্চার সেল গঠন করা হয়েছে।