২৮ দপ্তরে দুদকের কড়া নজরদারি

২৮ দপ্তরে দুদকের কড়া নজরদারি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি ২৮টি দপ্তরে নিজেদের নজরদারি বাড়িয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মূলত এই সব দপ্তরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রবণতার ও দুর্নীতির বিষয়ে জনশ্রুতি থাকায় এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে দুর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচিতদের খোঁজ-খবর রাখার পাশাপাশি তাদের গতিবিধি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছে দুদক।

দুদকের গোয়েন্দা শাখা ওই ২৮টি দপ্তরে তাদের তৎপরতা শুরু করেছে। সম্প্রতি দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ প্রতিষ্ঠানটির গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধানকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেয়ার পর নজরদারি জোরদার করা হয়। প্রথম আলো’র এক প্রতিবেদেন এমন তথ্য উঠে আসে।

এ বিষয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, সরকারের ২৮টি দপ্তরে দুর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তাদের গতিবিধির প্রতি নজর রাখা হবে। যাতে তারা ঘুষ খাওয়ার সুযোগ ও সাহস না পায়। দুর্নীতি করার ধৃষ্টতা না দেখায়। সম্প্রতি শুদ্ধি অভিযান শুরু হওয়ার পর দুদকও নড়েচড়ে বসেছে। গত দেড় মাসে অন্তত ২০ জন সরকারি-কর্মকর্তা কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। দুদক’র সূত্র মতে, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিবিদ-আমলাসহ অনেকের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে ২০১২ সালে দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের ১১টি প্রতিষ্ঠানে ১১ জন উপপরিচালকের নেতৃত্বে ১১টি দল গঠন করেছিল দুদক। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), ঢাকা সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সরকারি আবাসন পরিদপ্তর, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের দুর্নীতি অনুসন্ধান ও প্রতিরোধে গঠিত দুদকের দলগুলো এসব প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক অনুসন্ধান চালায়। অনেক মামলাও করে। পরে দলগুলো সম্পর্কে নানা অভিযোগ ওঠায় সেগুলো ভেঙে দেয়া হয়।

এরপর ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে দুজন উপপরিচালকের নেতৃত্বে দুটি আলাদা টাস্কফোর্স গঠন করে দুদক। টাস্কফোর্স দুটিও সেভাবে কার্যকর না হওয়ায় সেগুলো বাতিল করা হয়। বর্তমান কমিশন ২০১৬ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমনে সংস্থার আট পরিচালকের নেতৃত্বে ১৪টি প্রাতিষ্ঠানিক দল গঠন করে দুদক।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (ওসিজিএ), বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ বিমান, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট, আয়কর বিভাগ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি), ঢাকা ওয়াসা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ রেলওয়ে, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এবং ঢাকা মহানগরের সব সাব-রেজিস্ট্রি অফিস।