জুয়ার বোর্ড চালকদেরকে খুঁজছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

ক্যাসিনো-কাণ্ড: এখনও লাপাত্তা নেপালিরা

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর মতিঝিলে যে ক্যাসিনোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালিয়েছে, সেখানে জুয়ার বোর্ড চালাতো নেপালের ১৪ নাগরিক। এই ১৪ নেপালিজকে ধরতে রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বিষয়টি জানিয়েছেন।

বুধবার ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাব, মতিঝিলের ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, গুলিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র এবং বনানীর গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশের চারটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাব এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি দল। এসময় পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট ক্যাসিনোগুলো সিলগালা করার পাশাপাশি সেখান থেকে ১৮২ জনকে আটক করেন। তাদের প্রত্যেককে ছয় মাস থেকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জব্দ করা হয় প্রায় ৪০ লাখ নগদ টাকা, জাল টাকা, জুয়া খেলার সরঞ্জাম, ইয়াবাসহ দেশি-বিদেশি মদ।

এরমধ্যে ইয়ংমেনস ক্লবের মালিক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে দুই মামলায় সাত দিনের রিমান্ডেও নিয়েছে পুলিশ।

ওই কর্মকর্তা বলেন, অভিযানের সময় আমাদের কাছে সংবাদ ছিল মতিঝিলের ক্যাসিনোটিতে জুয়ার বোর্ড চালাতো ১৪ নেপালিজ পুরুষ। অভিযানের সময় একজনকেও পাওয়া যায়নি। পরে সেখান থেকে আমরা তাদের আবাসস্থল সেগুনবাগিচা ও পল্টন এলাকায় অভিযান চালাই। নেপালিজদের ধরতেই বাসায় গিয়েও তাদের পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, সেগুনবাগিচার বাসায় থাকতো ছয়জন এবং পল্টন এলাকার বাসায় থাকতো আটজন।

সূত্র জানায়, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেপালিজদের কাজ ছিল জুয়াড়িদের আসক্ত করা। ক্যাসিনো চালকরাই নেপালিজদের এখানে যোগদান করিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এদের কেউ টুরিস্ট ভিসায়, কেউ অন্য কোনো ভিসায় এসে ক্যাসিনোতে জুয়ার বোর্ড চালাতো। তবে তাদের ধরতে অভিযান চলছে। সেগুনবাগিচায় যে বাসায় ছয়জন থাকতো, সেটা সিলগালা করা হয়েছে এবং পল্টন এলাকার বাসাটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।