৭ দিনের রিমান্ডে খালেদ

হেভিওয়েট অনেকের নাম সাহেদের মুখে!

নিজস্ব প্রতিবেদক : যুবলীগ নেতা খালেদ হোসেন ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলা ডিবিতে স্থানান্তর হওয়ায় সেখানেই তার রিমান্ড ও জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।

আজ রাতে আদালত থেকে তাকে সরাসরি ডিবিতে নেয়া হয়। ডিবির (উত্তর) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহজাহান সাজু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আদালতে তুলে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় সাতদিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। অন্যদিকে খালেদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে অস্ত্র মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা চার দিন ও মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গুলশান থানা সূত্রে জানা গেছে, খালেদের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাবের পক্ষ থেকে গুলশান থানায় মামলাগুলো করা হয়।

এর আগে আটক খালেদকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় র‍্যাব। গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে আটক করা হয়।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্রসহ আটক করে র‌্যাব। আটকের পর তাকে র‍্যাব-৩ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

গ্রেফতারের সময় খালেদের বাসা থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, লকার থেকে ১০০০, ৫০০ ও ৫০ টাকার বেশ কয়েকটি বান্ডিল উদ্ধার করা হয়। সেগুলো গণনার পর ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া ডলারেরও বান্ডিল পাওয়া যায়। টাকায় তা ৫-৬ লাখ টাকা হবে বলে জানায় র‍্যাব। এছাড়া তার কাছ থেকে মোট তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যার একটি লাইসেন্সবিহীন, অপর দুটি লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ করে রাখা হয়েছিল।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে মতিঝিলের ক্যাসিনো পরিচালনার বিষয়টি মতিঝিল থানা পুলিশ, মতিঝিল জোন, পুলিশ সদর দফতর ও ডিএমপি সদর দফতরের কর্মকর্তারা জানতেন বলে দাবি করেন খালেদ। তবে পুলিশের সঙ্গে ক্যাসিনো পরিচালনার জন্য কোনো আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলেননি তিনি।