২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে

ঘোষিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছেনা ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক : লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোবাইল, অবকাঠামো, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণসহ কয়েকটি সম্ভাবনাময় খাতে বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার ৮০০ কোটি ডলার (২০.৮ বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। কনফেডারেশন অব এশিয়া প্যাসিফিক চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএসিসিআই) আওতাধীন ২৮টি দেশের সম্মেলন শেষে এমনটাই প্রত্যাশা করছে ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) ও সিএসিসিআইয়ের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সম্মেলনে সিএসিসিআই আওতাধীন বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশের উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা সম্ভাবনাময় বিভিন্ন খাত নিয়ে বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) আলোচনা করে।

দুই দিনব্যাপী ৩৩তম সিএসিসিআই সম্মেলনের অর্জনের বিষয়ে তুলে ধরে এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ও সিএসিসিআই সভাপতি সামির।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এফবিসিসিআই সম্মেলনে দুটি সমঝোতা হয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী দেশের ব্যবসায়িক চেম্বার ও এফবিআইয়ের মেম্বাররা সবাই ই-চেম্বারের গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হবে। এতে করে আমাদের প্রত্যন্ত এলাকার চেম্বার ও মেম্বারদের উৎপাদিত পণ্য বিটুবি প্ল্যাটফর্মে বিশ্ব বাজারে তুলে ধরতে পারবেন।

তিনি আর বলেন, আরেকটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অব এডাভান্স ইডুকেশন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। তারা এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে ট্রেনিং মডিউল শেয়ার করবে। ফলে আমাদের উদ্যোক্তাদের কর্ম সক্ষমতা বাড়বে।

ফজলে ফহিম জানান, সিএসিসিআই নেটওয়ার্কের ভেতরে আমরা ২০.৮ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের ক্ষেত্র পেয়েছি। এই বিনিয়োগ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ হবে। সিএসিসিআই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিএসিসিআই আওতাধীন দেশগুলো বিনিয়োগ করতে পারবে। নতুন বিনিয়োগে খাতগুলোর মধ্যে ইনফাস্ট্রেকচার, হসপিটালিটি, মোটরবাইকের বাই পার্টস লিংকেজসহ অন্যান্য ইন্ড্রাস্ট্রি রয়েছে।

সামির জানায়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রগতি বেশ আশাব্যঞ্জক। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য দেশটি প্রস্তুত। তাই বাংলাদেশে আগের তুলনায় বেশি বিনিয়োগের আগ্রহী বলে জানায় সিএসিসিআইয়ের সভাপতি।