১০ বছর পর শেয়ারবাজারে টানা চাঙাভাব

১০ বছর পর শেয়ারবাজারে টানা চাঙাভাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১০ বছর পর টানা ১১ সপ্তাহ ধরে চাঙা রয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। মূল্য সূচক বাড়ার পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে বেড়েছে সবকটি মূল্য সূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধনও। শুধু তাই নয়, বাজারে গড় লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

শেয়ারবাজারের তথ্য বলছে, জুলাই ও আগস্ট- এই দুই মাসেই ৬০ হাজার ৮১২ কোটি টাকা মূলধন বেড়েছে। গত জুলাই মাসের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ১১ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। এখন এই বাজারের মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে দুই হাজার ৯৩১ কোটি টাকা।

বাজার পরিস্থিতি ভালো হওয়ার পেছনে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের নেওয়া উদ্যোগগুলো বড় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী। তিনি বলেন, বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া উদ্যোগের ফলে বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে। এরই মধ্যে বড় বিনিয়োগকারী বাজারে আসতে শুরু করেছে। যে কারণে বাজার ১১ সপ্তাহ ধরে চাঙা রয়েছে।’
তথ্য বলছে, গত সপ্তাহজুড়ে সূচক ও বাজার মূলধন যে হারে বেড়েছে, লেনদেন বেড়েছে তার থেকেও বেশি হারে। আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসই-তে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৭২ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল তিন লাখ ৬৯ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে গত রোববার দেশের পুঁজি বাজার বন্ধ থাকায় বিদায়ী সপ্তাহে মোট চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এই চার দিনে ডিএসই-তে কেনাবেচা হয়েছে ৪ হাজার ২৩৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬৩৩ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৫৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৮২৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ২৩১ কোটি ১ লাখ টাকা। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে চার হাজার ২৩৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় চার হাজার ১৪৪ কোটি ২২ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৯৫ কোটি ২১ লাখ টাকা।