হাসি ফুটিয়েছে মাল্টা

হাসি ফুটিয়েছে মাল্টা

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা: জেলার বাহুবল উপজেলার গোলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা গেদন মিয়া (৬০)। তার প্রায় দুই একর জমি রয়েছে। এই জমিগুলোতে তিনি সবজি ও ধান চাষ করতেন। কৃষি বিভাগের অনুরোধে ১৫ শতক জমি প্রস্তুত করেন তিনি। এরপর ২০১৮ সালে বিনামূল্যে বারী-১ জাতের ৩০টি মাল্টা গাছের চারা তাকে দেওয়া হয় কৃষি বিভাগ থেকে।

রোপণের পর বছরখানেক শ্রম দিতেই তার গাছগুলোতে মাল্টা আসে। তবে আশানুরুপ ফল না আসায় গেদন মিয়া বেশ হতাশায় ছিলেন। কিন্তু এ মৌসুমে ৩০টি গাছের মধ্যে ২৫টিতে ব্যাপক আকারে মাল্টার ফলন হয়েছে। বাকি ৫টি গাছেও মাল্টা ধরেছে, তবে কম। গাছে গাছে মাল্টার ফলনে চাষি গেদন মিয়ার মুখে এখন তৃপ্তির হাসি।

চাষি গেদন মিয়া জানান, এ বছর মাল্টার ভাল ফলন হয়েছে। মৌসুম শেষে এ জমি থেকে প্রায় ২০০ কেজি মাল্টা সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। এগুলো স্থানীয় বাজারে পাইকারি বিক্রি করে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা আসবে। সকল খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১৭ হাজার টাকা লাভ হবে।

এ বিষয়ে গেদন মিয়া বলেন, ‘এ বছর মাল্টা থেকে ভাল লাভের আশা করছি। আগে মাল্টা চাষ করিনি জন্য এর চাষ পদ্ধতি তেমন একটা বুঝে উঠতে পারিনি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এখন আমি এ বিষয়টা পুরোপুরি বুঝে গেছি। আগামী বছর আরও কিছু জমিতে মাল্টা চারা রোপণ করবো।’

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানায়, পাহাড়ের আবহাওয়া মাল্টা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। আর এখানকার মাল্টা খেতেও বেশ সুস্বাদু। এজন্য এখানে মাল্টার চাষ বাড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃষকদেরকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। গেদন মিয়া এ বছর মাল্টা চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। আশা করছি তার দেখে এলাকার আরও অনেকে এটি চাষে আগ্রহী হবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল জানান, বাহুবল উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় মাল্টা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার মাটি মাল্টা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এজন্য আমরা চেষ্টা করছি মাল্টার চাষ বাড়ানোর। তাই চাষিদেরকে বিনামূল্যে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এতে চাষিরা অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন।