হঠাৎ পাটকল বন্ধে আন্তর্জাতিক বাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ

পাটকল বন্ধে আন্তর্জাতিক বাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দেয়ায় এর সমালোচনা করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি বলেছে, হঠাৎ করেই পাটকলসমূহ এভাবে বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজার হারাচ্ছে। একই সঙ্গে, পাটপণ্য রফতানি নিয়ে লুটপাটের অভিযোগও এনেছে দলটি। তারা বলেছে, পাটপণ্য রফতানি নিয়ে কী লুটপাট চলছে তার প্রমাণ দুবাইভিত্তিক একটি কোম্পানির কাছে দেশীয় রফতানিকারকদের প্রস্তাবিত দামের অনেক নিচে পাটপণ্য বিক্রি করা।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভায় রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে সম্প্রতি বন্ধ করে দেয়া পাটকল সম্পর্কে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় এসব কথা বলেন দলটির নেতারা।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি বলছে, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল আধুনিকায়ন নয়, ব্যক্তিগতায়নই ওই সব মিল বন্ধ করার উদ্দেশ্য ছিল। দলটি বলেছে, পাটমন্ত্রী নিজেই থলের বিড়াল বের করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিমালিকরা পিপিপিতে আগ্রহী নয়, তাই তাদের লিজ দেয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। আসলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিকল্প প্রস্তাবসমূহ না তুলে পিপিপিতে পাটকলের আধুনিকায়নের ঘোষণা ছিল দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণা।

দলটি আরও বলেছে, শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে যে টাকা দেয়া হচ্ছে তার বড় অংশই তাদের বকেয়া পাওনা। এটা তাদের জন্য কোনো করুণা বা দয়ার দান নয়। এখনো সময় আছে পাটকলগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে রেখে তার আধুনিকায়ন করা। বঙ্গবন্ধু যেই ভিত্তিতেই বাহাত্তরে পাটকলগুলো জাতীয়করণ করেছিলেন, সেটাই তার নীতির যথার্থ অনুসরণ। পাটকল সম্পর্কিত যে নীতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নিজেও অঙ্গীকারাবদ্ধ।

পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পলিটব্যুরোর সভায় বলা হয়, এভাবে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকুরি অবসায়নকে ‘অমানবিক’ আখ্যায়িত করে বলা হয়, এই সময় ওই অর্থ দিয়ে তারা পেশা পরিবর্তন করতে পারবেন না। ফলে ব্যক্তিমালিকদের কাছে লিজ দেয়া মিলে অর্ধেকের বেশি নিম্ন দামে তাদের শ্রম বিক্রি করে বাঁচার চেষ্টা করতে বাধ্য হবেন।