সড়ক ও নৌবন্দরে ইজারাদাররা চাঁদাবাজি করে : শাহজাহান খান

নিউজ ডেস্ক: একসময় পরিবহন সেক্টরে ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি হতো। আমরা তা বন্ধ করেছি। বর্তমানে সড়ক ও নৌবন্দরে ইজারাদাররা চাঁদাবাজি করছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৮ মে) দুপুরে লালমনিরহাট সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান।

এই সংসদ সদস্য বলেন, শ্রমিক সংগঠন পরিচালনার জন্য নির্ধারিত রসিদ-মূলে জেলা পর্যায়ে শ্রমিকপক্ষ ৩০ টাকা ও মালিকপক্ষ ৩০ টাকা হারে আদায় করছে। এটা চাঁদা নয়, শ্রমিক সংগঠন পরিচালনার ব্যয়। বর্তমানে সড়কে চাঁদাবাজির সঙ্গে শ্রমিক-মালিক কোনো পক্ষই জড়িত নয়।

দেশের বিভিন্ন পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের সড়ক থেকেও ইজারার নামে চাঁদাবাজি করছে ইজারাদাররা। বিআইডব্লিউটিএর নৌবন্দরগুলোতেও একইভাবে ফেরিতে গাড়িপ্রতি তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা ইজারার নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। এসব চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান করছি।

ইতোমধ্যে ঢাকায় এমন ৭০ জন চাঁদাবাজকে প্রশাসন গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিনে সারা দেশের মানুষ আনন্দ উল্লাস করবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেই আনন্দ ম্লান করতে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হামলা করেছে, যা প্রতিহত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্ররা। এটার দায়ও তারা ছাত্রলীগের ওপর চাপাচ্ছে, যা সঠিক নয়। তবে আমরা প্রতিহত করব