‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নিরাপদ খাবার নিশ্চিতের বিকল্প নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক:  স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নিরাপদ খাবার নিশ্চিতের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ খাবার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা। আর নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করার কাজে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জাইকা) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাপানের টোকিওতে জাইকার হেড কোয়াটার্সে সংগঠনটির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় চলমান প্রকল্প ও ভবিষ্যৎ প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নিরাপদ খাবার নিশ্চিতের বিকল্প নেই। সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার পর থেকে ভোক্তার কাছে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিতে এ দপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ৬৪ জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে এ কার্যক্রম চলছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে পারলে নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে তারা আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, জাইকার অর্থায়নে বিভাগীয় পর্যায়ে টেস্টিং ল্যাব হচ্ছে। এর পাশাপাশি দেশের বাইরে থেকে অনিরাপদ খাদ্য যেন দেশের ভোক্তার কাছে না আসতে পারে তার জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ পোর্ট এন্ট্রিতেও টেস্টিং ল্যাব স্থাপন প্রয়োজন।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইমোতো সাচিকো বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উল্লেখ করার মতো। জাপান দক্ষিণ এশিয়ার সাকসেস স্টোরি হিসেবে বাংলাদেশকে দেখতে চায়। সে কারণেই মেট্রোরেল, পাতাল রেল ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে জাইকা তথা জাপান সম্পৃক্ত হয়েছে। এতে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত বন্ধুত্বও শক্তিশালী হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে জাইকার প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়ানো, জনসচেতনতা ও পোর্ট এন্ট্রিতে টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগেও জাইকা বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, ভবিষ্যৎ প্রকল্পে টেকনিক্যাল সাপোর্ট বাড়ানোর পাশাপাশি ফুড রিলেটেড ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তোলা দরকার। এর ফলে বাংলাদেশের জনগণ উপকৃত হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মজিবর রহমান, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য রেজাউল করিম, মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ ও জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার নাসির এরশাদ, জাইকার ডাইরেক্টর অসিমা কেনসুকি ও ডেপুটি ডাইরেক্টর ফুজি তরুয়াকি।

পরে খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল জাপানের মিনিস্ট্রি অব হেলথ, লেবার অ্যান্ড ওয়েলফেয়ারের ফুড স্যানিটেশন মনিটরিংয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।