দৃঢ়চিত্ত সেলিম ওসমানের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে

নিউজ নাইন২৪, নিজস্ব প্রতিবেদক: না.গঞ্জে কটুক্তির অপরাধে শিক্ষককে শাস্তি দেয়া এবং উদ্ভুত পরিস্থিতির চাপে শিক্ষকের কাছে ক্ষমা না চেয়ে বরং আল্লাহকে কটুক্তি করার অপরাধে শাস্তি দেয়া হয়েছে বলে অটল থাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা বেড়েছে সাংসদ সেলিম ওসমানের। এঘটনায় না.গঞ্জের বন্দর উপজেলাসহ গণমানুষের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন সেলিম ওসমান।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সাধারণ মানুষ গণহারে তাকে স্যালুট দিচ্ছে এ দৃঢ়তার কারণে।

এমনকি আল মাদিনা শিল্পী গোষ্ঠী নামক একটি ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠনও সেলিম ওসমানের প্রশংসা করে গান তৈরি হয়েছে, যা ইতোমধ্যে ফেসবুকের ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের ইসলাম নিয়ে কটুক্তির শাস্তি স্বরূপ কান ধরে ওঠবস করিয়েছিলেন সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। এ ঘটনায় কিছু চিহ্নিত সংস্কৃতিবাদী, নাস্তিক্যবাদী মহলের চাপে এবং অতিউৎসাহি কিছু গণমাধ্যমের নেতিবাচক প্রচারণায় নতি স্বীকার করেননি সেলিম ওসমান।

শিক্ষকের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে সাংসদ সেলিম ওসমান দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, “আল্লাহকে কটুক্তি করার প্রতিবাদে আমি একজনকে শাস্তি দিয়েছি। এজন্য যদি আমার ফাঁসিও হয়, আমার কোন আপত্তি নেই।”

তিনি বলেন, ‘আমি ওই শিক্ষকের লাঞ্ছিতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করছি। এর জন্য আমি লজ্জিত হতে পারি কিন্তু আমি তার কাছে ক্ষমা চাইবো না। কারণ সে ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করেছে। এ অপরাধ ক্ষমা করা যায় না।’

দৃঢ়চিত্ত সেলিম ওসমান অপপ্রচারকারী মিডিয়া ও বিভিন্ন মহলদের এক হাত নিয়ে বলেন, ক্ষমাও চাইবো না, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংসদেও যাবো না। কোন চ্যাম্বারেও বসবোনা। আমি যদি অপরাধী হিসেবে প্রমাণিত হই আমি সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করবো।

গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সেলিম ওসমান না.গঞ্জ ক্লাব লিমিটেডে সংবাদ সম্মেলনে এভাবে তার অবস্থান স্পষ্ট করে বক্তব্য দেয়ার পর তা গণমানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। না’গঞ্জ জেলাসহ বিভিন্ন জেলা ও প্রবাসী বাঙালিরা তাকে ‘সাবাস সেলিম ওসমান’ ‘স্যালুট’ বলে বাহবা দিতে দেখা যায়।

ভিডিও: সেলিম ওসমানকে নিয়ে লেখা গান ‘সাবাস তুমি বীর সিপাহী, সাবাস সেলিম ওসমান।/হযরত ওমরের উত্তরসূরি, গর্বিত মায়ের সন্তান, সাবাস সেলিম ওসমান।”