সুপারসনিক মিসাইল তৈরি করছে পাকিস্তান

সুপারসনিক মিসাইল তৈরি করছে পাকিস্তান

নিউজ ডেস্ক : পাকিস্তান নৌ বাহিনীর ব্যবহারের জন্য সুপারসনিক মিসাইল তৈরির ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে দেশটির ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব মিউনিশন্স প্রডাকশন (ডিজিএমপি)। প্রতিরক্ষা উৎপাদন মন্ত্রণালয়ের (ডিওডিপি) ২০১৭-১৮ সালের এক নথি থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে ডিওডিপি বা ডিজিএমপি কারো তরফ থেকেই এই ক্ষেপনাস্ত্রের পাল্লা, ওজন, মাত্রা বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা যায়নি। মিসাইলটি সুনির্দিষ্টভাবে নৌবাহিনীর জন্য জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ মিসাইল (এএসসিএম), বা ল্যান্ড এ্যটাক ক্রুজ মিসাইল (এলএসিএম) হবে কিনা নথিতে তাও স্পষ্ট করা হয়নি। তবে এটা ডুয়েল এএসসিএম/এলএসিএম হতে পারে।

তাছাড়া ডিজিএমপি হারবা ডুয়েল এএসসিএম/এলএসিএম–এর একটি উন্নত সংস্করণ তৈরি অনুমোদন করেছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে আজমাত-ক্লাস ফাস্ট এ্যটাক ক্রাফট পিএনএস হিম্মাত থেকে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ মিসাইল হারবা নিক্ষেপ করে এটি তৈরির ব্যাপারে জানান দেয়।

২০১৯ সালের এপ্রিলে পিএনএস হিম্মত থেকে যে ডুয়েল এএসসিএম/এলএসিএম পরীক্ষা চালানো হয় তা থেকেও উন্নত সংস্করণ তৈরি করা হতে পারে।

ভারতের তৈরি ব্রহ্মসের মতো সুপারসনিক-ক্রুজ এএসসিএম-এর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়া কঠিন এবং বাস্তবসম্মতও নয়। ফলে পাকিস্তানের জন্য একই ধরনের ক্ষেপনাস্ত্রে সজ্জিত হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

পাকিস্তান সুপারসনিক মিসাইল তৈরি করবে বলে ইংগিত থেকে মনে হচ্ছে যে এন্টি-শিপ মিশনের জন্য পাকিস্তান নৌ বাহিনী নিজস্ব সুপারসনিক মিসাইল তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। সত্যিকারের ‍তুলনীয় সমাধান হচ্ছে – মিসাইলটিকে সুপারসনিক ডিজাইনের হতে হবে। অর্থাৎ এতে এয়ার-ব্রেথিং ইঞ্জিন (রামজেট বা স্ক্রামজেট) থাকতে হবে।

পিএনএসের সুপারসনিক মিসাইল তৈরির কোন সময়সীমা দেয়া হয়নি। যৌথ উদ্যোগের কোন প্রকল্প নেয়া হবে কিনা সেই ইংগিতও নেই। তবে এমনটি হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না কারণ এতে সময় কম লাগবে এবং ব্যয় কম হবে। (যেমন ভারতকে ব্রহ্মস তৈরিতে রাশিয়া সাহায্য করেছে।)

এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সম্ভাব্য অংশীদার হতে পারে চীন, ইউক্রেন বা দক্ষিণ আফ্রিকা। চীন এরই মধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক সুপাসনিক ক্রুজিং এএসসিএম বাজারজাত করছে। এগুলোর মধ্যে এইচডি-১এ, সিএম-৩০২ ও সিএক্স-১ রয়েছে। ১৯৯০-এর দশক থেকে রাজজেট প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইউক্রেনের ইউজনহে স্টেট ডিজাইন অফিসও রামজেট প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তাই পাকিস্তান সহজেই বাইরে থেকে সাহায্য পেতে পারে।

-সাউথ এসিয়ান মনিটর