সিয়াচেন হিমবাহে তুষারধসে ১০ ভারতীয় সেনা নিখোঁজ

কাশ্মীর প্রদেশে সিয়াচেন হিমবাহে

ডেস্ক : ভারতের কাশ্মীর প্রদেশের সিয়াচেন হিমবাহে তুষারধসে ১০ ভারতীয় সেনা নিখোঁজ হয়েছে।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল এসডি গোস্বামী বলেছেন, বিমান ও সেনাসদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। উদ্ধার অভিযানে সাহায্য করছে ডগ স্কয়াড। খবর: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বিবিসি অনলাইন

সিয়াচেন হিমবাহের উত্তরাংশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চৌকি রয়েছে। বুধবার সকালে তুষারধস সেনাচৌকিতে আঘাত করে। এ ঘটনায় ১০ সেনাসদস্য নিখোঁজ হয়।

সিয়াচেন হিমবাহ বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। ভারত ও পাকিস্তানের সেনারা সেখানে নিয়মিত টহল দেয়। উভয় দেশ সিয়াচেনকে তাদের সার্বভৌম অঞ্চল বলে দাবি করে। এ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ জিইয়ে রয়েছে।

গত বছর সিয়াচেনের একই এলাকায় তুষারধসে চার ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত হন। ১৯৮৪ সালে সিয়াচেন হিমবাহের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধে যত না প্রাণহানি হয়, এ পর্যন্ত তার চেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে তুষারধসের কারণে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২ হাজার ফুট উঁচুতে হিমবাহে সেনা মোতায়েন করা আছে।

কয়েক দফা আলোচনা করার পরও সিয়াচেন থেকে সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করেনি ভারত ও পাকিস্তান।

কাশ্মিরের উত্তরাঞ্চলে সিয়াচেন হিমবাহের অবস্থান এবং সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রণক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। পাকিস্তানের অভিযোগ ভারত ‘৮০-র দশকে সিয়াচেনের বেশ কিছু এলাকা দখল নিয়েছে। তাই পাকিস্তান আলোচনার মাধ্যমে সিয়াচেন সংকট নিরসনের ওপর জোর দিয়ে আসছে।
ভারত ও পাকিস্তান ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করলেও সিয়াচেন ও কাশ্মিরের ওপর মালিকানাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। কাশ্মীর সংকট দীর্ঘ দিন ধরে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেললেও সিয়াচেনে সামরিক উপস্থিতির বিশাল ব্যয়ভারের কথা বিবেচনা করে পাকিস্তান দ্রুত এ সংকটের নিরসন এবং ওই এলাকাকে বেসামরিকীকরণ করার ওপর জোর দিয়েছে।