সিনেমাটিক নয়, বাস্তবেই ছোট-বড় হবে গাড়ি!

ভাবুন তো, একটি গাড়ি বা কার চালাচ্ছেন, যেটাতে রয়েছে এমন বিশেষ চেসিস, যা দরকারে বড়-ছোট করা যাচ্ছে। ফলে তাতে রাখা যাচ্ছে বিভিন্ন আকারের ব্যাটারি প্যাক। আর আকার বদলের সুযোগ থাকায় ওই চেসিস ব্যবহার করা যাচ্ছে বিভিন্ন আকারের গাড়িতেও। যে চেসিস আবার এক থেকে চারটি মোটর ব্যবহার করতে সক্ষম, যার ফলে টু-হুইল, ফোর-হুইল ড্রাইভ দুই ধরনের গাড়িতেই চেসিসটি ব্যবহার করা যাচ্ছে!

স্বাপ্নিক নয়! বৈদ্যুতিক গাড়ি জগতে কাস্টমাইজেবল বা ‘প্রয়োজনমাফিক ব্যবহার উপযোগী’ এমনই ইলেকট্রিক কার নিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ফ্যারাডে ফিউচার’।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রেরই লাস ভেগাসে কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স শো (সিইএস)- এ এফএফজিরো০১ নামে চমকে দেওয়া এই ‘কনসেপ্ট ভিহিকল’টি উন্মোচন করা হয়। যদিও এক হাজার অশ্বক্ষমতার এক আসন বিশিষ্ট রেস কারটি পেতে গ্রাহকদের অপেক্ষা করতে হবে কয়েক বছর।

ফ্যারাডে ফিউচারের কর্মকর্তাদের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, চমকে দেওয়া এফএফজিরো১-এর বাণিজ্যিক সংস্করণ আরও ‘বাস্তবসম্মত’ হবে।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, কেবল উপর্যুক্ত সুবিধাই নয়, চমকে দেওয়া এ গাড়িতে একটি স্টিয়ারিং ‍হুইল থাকছে, যাতে সরাসরি স্মার্টফোন সংযুক্ত করে জিপিএসসহ ড্রাইভিং সংশ্লিষ্ট অথবা যেকোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে।

গাড়ি নির্মাণ জগতে গত বছর নাম লেখায় দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ফ্যারাডে ফিউচার। তারপর টেলসা, ফর্ড, জিএম, বিএমডব্লিউ ও স্পেসএক্স’র মতো খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মেধাবী বিশেষজ্ঞদের বাগিয়ে আনে প্রতিষ্ঠানটি।

এরপর প্রতিষ্ঠানটি একশ’ কোটি ডলারের কারখানা তৈরির কাজও হাতে নেয়। ফ্যারাডে ফিউচার দাবি করছে, ২০২০ সালের মধ্যেই রাস্তা কাঁপাবে তাদের গাড়ি।

এফএফজিরো০১ কারের বিষয়ে ফ্যারাডে ফিউচারের ডিজাইন প্রধান রিচার্ড কিম বলেন, ‘এই গাড়ি শতভাগ মজবুত ও বৈদ্যুতিক দূষণ সৃষ্টি না করার মতো। এর দৌঁড়ানোর ক্ষমতা হাজার অশ্বক্ষমতার সমান।’