সিটিংয়ের নামে সড়কে চলছে চিটিং সার্ভিস : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মাঝে মাঝে লজ্জা হয়, কষ্ট হয়, এত কথা বলি, কেন বলি? সড়কে শৃঙ্খলার জন্য। কিন্তু সড়কে কি শৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে? দেখছি সবাই বেপরোয়া। লেখা সিটিং সার্ভিস কিন্তু আসলে চিটিং সার্ভিস। চিটিংয়ের কারণে সার্ভিস সিটিং হচ্ছে না। এখানে পরিবহন মালিক নেতারা আছেন। প্রতিনিয়ত বলছি কিন্তু কাজ হচ্ছে না।

শনিবার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাকের আয়ােজনে গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণ-পরবর্তী সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এত লেখালেখি, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। বাসে লেখা আল্লাহর নামে চলিলাম, চলতে চলতে গর্তের মধ্যে পড়ে গেলাম। এ দৃশ্য নিত্যদিনের। এখানে বেপরোয়া কিন্তু চালক এবং পথচারী সবাই।

তিনি বলেন, পথচারীরা যত্রতত্র রাস্তা পারাপার হচ্ছেন, হাতে মোবাইলফোন, মধুর আলাপ করছেন, ছুটন্ত গাড়ি এসে চাপা দিয়ে যাচ্ছে, কে শোনে কার কথা। আইন না মানার যে প্রবণতা এদেশে, কবে যে সচেতনতা আসবে? আজ মা তার সন্তানকে কোলে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন আবার অনেকে হামাগুড়ি দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। অথচ পাশেই ফুটওভার ব্রিজ। এমনকি মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরও এপার থেকে ওপারে পারাপার হচ্ছেন, যা খুবই দুঃখজনক।

রাজনীতি এবং সড়কের ড্রাইভিং সিটে শৃঙ্খলা নেই উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ পলিটিক্সেও সবাই আমরা বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে ব্যস্ত। আমাদের মুখে এবং কথামালার মধ্যে কোনো সতর্কতা নেই। মুখ থেকে বিষ বের হচ্ছে, যা ফরমালিনের চেয়েও ভয়ঙ্কর। এখানেও আমরা বেপরোয়া। জানি না আমরা কবে কখন ধৈর্য, শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তার কাছে ফিরতে পারব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিআরটিসিতে দুর্নীতি-অনিয়ম যেভাবে বাসা বেঁধেছে তা ভাঙা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। সিন্ডিকেট, অনিয়মে বিআরটিসি লাভের মুখ দেখে না। নতুন ভালো একজনকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়েছে তিনি কাজ করছেন। দেখা যাক। সড়কে প্রাণহানি বাড়ছে, একই পরিবারের অনেকের জীবনপ্রদীপ নিভে যাচ্ছে। স্বপ্নগুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে। তখন আমি কষ্টে রাস্তায় বের হতে পারি না। মন্ত্রী হিসেবে দায় এড়াতে পারি না। এটা সবার বেদনার, কষ্টের।