সম্মানিত নববী পরিবার ও পবিত্র কোরআন-হাদীসে উনাদের শ্রেষ্ঠত্বের বয়ান

মদীনা, সবুজ গম্বুজ মোবারক

মাওলানা মুফতি আহমদ নুসাইরঃ বর্তমান সময়ে মুসলিম সম্প্রদায় ইসলাম থেকে এতোটা দূরে সরে গেছে যে যিনি প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মূল, যাঁকে সৃষ্টি না করলে স্বয়ং মহান আল্লাহ সুবহানু তায়ালা কোন কিছুই সৃষ্টি করতেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন সেই হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল নয়। আর উনার সম্মানিত পরিবার, পরিজন তথা পবিত্র আহলে বাইতগণ উনাদের সম্পর্কে তো খুব অল্পবিস্তরই জানে। অথচ খোদ মহান আল্লাহ সুবহানু তায়ালা স্বয়ং তিনি নিজেই কোরআন পাকে ইরশাদ ফরমান-

قل لا اسئلكم عليه اجرا الا الـمودة فى القربى.

অর্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি মাখলূক্বাতকে বলে দিন, তোমাদের কাছে কোনো কিছুরই প্রতিদান বা বিনিময় চাওয়া হচ্ছে না। প্রতিদান বা বিনিময় দেয়া তোমাদের পক্ষে সম্ভবও নয়। প্রতিদান বা বিনিময় দেয়ার ইচ্ছা করাও তোমাদের জন্য কুফরীস্বরূপ। তবে তোমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামগণের মুহব্বত করা এবং সদাচরণ করা।” (সূরা শুয়ারা: আয়াত ২৩)

অর্থাৎ মহাসম্মানিত নবী পরিবার-পরিজন উনাদের মুহব্বত করার বিষয়টি আখেরী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অধিকারের সাথে সম্পৃক্ত ও সংশ্লিষ্ট। যা আরো সুস্পষ্ট করে পবিত্র হাদীছ পাকে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت على عليه السلام قال خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم مغضبا حتى استوى على المنبر فحمد الله واثنى عليه قال ما بال الرجال يؤذوننى فى اهلى والذى نفسى بيده لا يؤمن عبد حتى يحبنى ولا يحبنى حتى يحب ذوى.

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত জালালী শান মুবারকে হুজরা শরীফ থেকে মসজিদে নববী শরীফে তাশরীফ মুবারক রাখেন। অতঃপর, তিনি মিম্বর শরীফে আরোহণ করে মহান আল্লাহ পাক উনার হামদ শরীফ ও ছানা শরীফ পাঠ করতঃ ইরশাদ মুবারক করেন, লোকদের কি হলো? আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ব্যাপারে তারা আমাকে কষ্ট দেয়। মহান আল্লাহ পাক উনার শপথ! আমাকে মুহব্বত করা ব্যতীত কেউই মু’মিন হতে পারবে না। আর আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা ব্যতীত কেউই আমাকে মুহব্বত করতে পারবে না।” (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم لو أن رجلا صف بين الركن والمقام، فصلى وصام، ثم لقى الله عزّوجل وهو مبغض لأهل بيت محمّد صلى الله عليه وسلم دخل النار

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, পবিত্র কা’বা শরীফ ও পবিত্র মাক্বামে ইবরাহিম উনাদের মাঝামাঝি অবস্থান করতঃ নামায-রোযা আদায় করতে করতে কেউ যদি মারা যায়। কিন্তু হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, তাহলে সে জাহান্নামী হবে।” (বুখারী শরীফ)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حضرت اَبِىْ سَعِيدٍ الْخُدْرِيّ رضى الله تعالى عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللّهِ صَلَّى اللّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَبْغَضَنَا اهْلَ الْبَيْتِ فَهُوَ مُنَافِق

অর্থ: “হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, সে মুনাফিক।” (ফাদ্বায়িলুস সাহাবা)

অর্থাৎ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বতই সমস্ত কিছুর মূল। উনাদের মুহব্বতের মাধ্যমেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত সম্পন্ন হবে। এবং চূড়ান্তভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতও সম্পন্ন হবে। এমনকি উনাদের মুহব্বত ব্যতিত কারো কোন আমলও কবুল হয় না। উপরন্তু উনাদেরকে যারা মুহব্বত করবে না, তারা মুনাফিক হিসেবে পরিগণিত হবে।

এখন মুহব্বতের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে কিভাবে? হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে বান্দা মুহব্বত করলে, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে উনাদেরকে অনুসরণের মাধ্যমে। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

قل ان كنتم تحبون الله فاتبعونى يحببكم الله

অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মতদেরকে বলেন দিন! যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহ্ববত করে থাকো, তাহলে তোমরা আমাকে অনুসরণ করো। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত করবেন।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)

অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি মুহব্বত উনার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত বা অনুসরণ করার মাধ্যমে। কেননা, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن ام الـمؤمنين حضرت عائشة عليها السلام من احب شيئا اكثر ذكره.

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মানুষ যাকে মুহব্বত করে উনার স্মরণও বেশি করে থাকে।” (মাক্বাছিদুল হাসানাহ)

অর্থাৎ মুহব্বতের বহিঃপ্রকাশ ঘটে স্মরণের মাধ্যমে। আর এ কথা সুস্পষ্ট যে, মানুষ যাকে বেশি স্মরণ করে উনাকে অনুসরণও বেশি করে থাকে। আর এজন্যই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت جابر بن عبد الله رضى الله تعالى عنه قال رأيت رسول الله صلى الله عليه و سلم فى حجته يوم عرفة وهو على ناقته القصواء يخطب فسمعته يقول يا أيها الناس انى قد تركت فيكم ما ان اخذتم به لن تضلوا كتاب الله وعترتى اهل بيتى.

অর্থ: “হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বিদায় হজ্জে আরাফার দিন ক্বাসওয়া নামক উটে আরোহিত অবস্থায় খুতবা মুবারক প্রদানকালে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছি যে, তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে মানুষেরা! আমি তোমাদের নিকট রেখে যাচ্ছি দুটি নিয়ামত। যতদিন তা আঁকড়ে থাকবে বা ধরবে, ততদিন তোমরা কখনো গুমরাহ হবে না। কিতাবুল্লাহ উনাকে এবং আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে।” (তিরমিযী শরীফ)

অর্থাৎ কিতাবুল্লাহ পবিত্র কুরআন শরীফ এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুসরণই হিদায়েতের পথ। উনাদের ইতায়াত হতে বিচ্যুত হলে কেউই হিদায়েতের উপর দৃঢ়চিত্ত থাকতে পারবে না। সূক্ষ্মভাবে ফিকির করলে দেখা যায়- কেবল হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইতায়াতের মাধ্যমে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত পূর্ণাঙ্গরূপে পালিত হয়। হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইতায়াত ব্যতিত অন্য কোনো পন্থায় সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত পূর্ণাঙ্গরুপে পালিত হয় না। কেউ যদি হানাফী মাযহাব অনুসরণ করে, সে প্রকৃতপক্ষে ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরই ইতায়াত করলো। অপর দিকে যে মালিকী, শাফিয়ী এবং হাম্বলী মাযহাবের অনুসরন করলো, সেও প্রকৃতপক্ষে হযরত আওলাদু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরই ইতায়াত করলো। অনুরূপভাবে ইলমে তাসাউফের ত্বরীক্বাসমূহের সালিকগণও হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইতায়াত করে থাকেন।

উল্লেখ্য যে, ঈমান ও আমলের ন্যায় উম্মাহর নাজাতও হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপরেই নির্ভরশীল। কারণ, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

يَوْمَ لَا يَنفَعُ مَال وَلَا بَنُونَ . إِلَّا مَنْ اتَى اللّـهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ

অর্থ: “ক্বিয়ামতের দিন ক্বলবে সালীম ব্যতিত মাল-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি দিযে কেউ মহান আল্লাহ পাক উনার কাছ থেকে ফায়দা লাভ করতে পারবে না।” (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৮-৮৯)
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে উল্লেখ করা হয়, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সর্বাধিক মুহব্বত করে, উনাদেরকে হাক্বীক্বীভাবে ইতায়াতকারীগণই ক্বিয়ামতের ময়দানে ক্বলবে সালীম তথা প্রশান্ত অন্তর নিয়ে উঠবেন। অপর দিকে যারা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সর্বাধিক মুহব্বত করবেনা এবং উনাদেরকে হাক্বীক্বীভাবে ইতায়াতও করবেনা, তাদের কঠিন পরিণতি হবে। কারণ, মুহব্বত না করার অর্থই বিদ্বেষ পোষণ করা। আর এরূপ লোকদের ব্যাপারে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حضرت مُعَاوِيَةَ بْنِ حُدَيْجٍ رحمة الله عليه عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيّ عليه السلام انَّهُ قَالَ لَهُ : يَا مُعَاوِيَةُ بْنَ حُدَيْجٍ ، إِيَّاكَ وبُغْضَنَا ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : ” لا يَبْغَضُنَا وَلا يَحْسُدُنَا أَحَد إِلا ذِيدَ عَنِ الْحَوْضِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِسِيَاطٍ مِنْ نَارٍ

অর্থ: “হযরত মুয়াবিয়া ইবনে হুদাইজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমরা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করি না। কারণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ক্বিয়ামতের দিন আমাদের প্রতি হিংসা ও বিদ্বেষ পোষণকারীদেরকে আগুনের চাবুক দ্বারা প্রহার করে হাউজে কাওছার হতে তাড়িয়ে দেয়া হবে।” (আল মু’জামুল আওছাত লিত্ ত্ববারী)

অর্থাৎ যে বা যারা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন করতে পারবে না, তারা কখনোই হাউজে কাওছার হতে পানি লাভ করতে পারবে না। অপর দিকে যারা উনাদের রেযামন্দি মুবারক হাছিল করতে পারবে, তারা অকল্পনীয়ভাবে নাজাত লাভ করবে। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

أَلا وَمن مَاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ مُحَمَّدٍ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّم يزف إِلَى الْجنَّة كَمَا تزف الْعَرُوس إِلَى بَيت زَوجهَا.

অর্থ: “সাবধান! যিনি সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারকে ইন্তেকাল করবেন, উনাকে এমনভাবে সুসজ্জিত করে জান্নাতে নেয়া হবে, যেমনভাবে নববধূকে সাজিয়ে তার স্বামীর ঘরে নেয়া হয়।” সুবহানাল্লাহ। (নুজহাতুল মাজালিস)

বলাবাহুল্য যে, মুহব্বতের যেমন বহিঃপ্রকাশ রয়েছে, তেমনি বিদ্বেষ পোষণেরও বহিঃপ্রকাশ রয়েছে। হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে হাক্বক্বী মুহব্বত করলে বান্দা-বান্দী অবশ্যই উনাদেরকে ইতায়াত করবে। উনাদের ছানা-ছিফত করবে। উনাদের রেযামন্দি হাছিলের কোশেশ করবে। উনাদের আদর্শ মুবারককে সর্বক্ষেত্রে প্রাধান্য দিবে। উনাদের সমালোচনাকে কখনোই প্রশ্রয় দিবে না। উনাদের শান মুবারকের খিলাফ কথা-বার্তা, লিখনী বা অন্য যেকোনো নিকৃষ্ট কাজে সদা-সর্বদা প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করবে।

সর্বপোরি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিদ্বেষ পোষণকারীদের সাথে কখনোই সুসম্পর্ক রাখবে না। অপরদিকে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি যে বা যারা বিদ্বেষ পোষণ করে, উনাদেরকে ইতায়াত করবে না। উনাদের ছানা-ছিফত করবে না। উনাদের রেযামন্দি হাছিলের কোশেশ করবে না। উনাদের আদর্শ মুবারককে কখনোই প্রাধান্য দিবে না। উনাদের সমালোচনাকেই সবসময় প্রশ্রয় দিবে। উনাদের শান মুবারকের খিলাফ কথা-বার্তা, লিখনী বা অন্য যেকোনো নিকৃষ্ট কাজে সদা-সর্বদা লিপ্ত থাকবে। সর্বপোরি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিদ্বেষ পোষণকারীদের সাথে সবসময় সুসম্পর্ক বজায় রাখবে।” নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!

মূল কথা হলো, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক মুহব্বত ঈমানের মূল। উনাদের ইতায়াত আমলের মূল। উনাদের রেযামন্দি মুবারক নাজাতের মূল।

লেখক: শিক্ষক, গবেষক ও লেখক।