সপ্তাহে দর পতনের মূলধন বেড়েছে ডিএসইতে

সপ্তাহে দর পতনের মূলধন বেড়েছে ডিএসইতে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হলেও গত সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধনের পরিমাণ। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার ওপরে।

এর আগে টানা ১৩ সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে পতনের মধ্যে পড়ে শেয়ারবাজার। মূল্য সূচকের পতনের সঙ্গে কমে লেনদেনের পরিমাণ। তবে সপ্তাহ ঘুরতেই আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরেছে শেয়ারবাজার। অবশ্য লেননের গতি কিছুটা কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে চার লাখ তিন হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল তিন লাখ ৯৪ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা। অর্থাৎ ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে আট হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৬ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১২৫ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এর আগে টানা ১৩ সপ্তাহের উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বাড়ে ১ হাজার ১৪১ পয়েন্ট।

প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক। শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত এ সূচকটি গত সপ্তাহে বেড়েছে দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৩৬ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। অবশ্য তার আগে টানা ১৩ সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ২৪৫ পয়েন্ট।

বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইর আরেকটি সূচক ডিএসই-৩০। এ সূচকটি গত সপ্তাহে বেড়েছে ৯ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৬০ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। তার আগে টানা নয় সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩৯২ পয়েন্ট।

বাজার মূলধন ও সবকটি মূল্য সূচক বাড়লেও গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৪৮টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯২টির। আর ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৯১৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে তিন কোটি ৭৯ লাখ টাকা বা দশমিক ৪১ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে চার হাজার ৫৫৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় চার হাজার ৫৭৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে এক হাজার ১৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এ’ গ্রুপ বা ভালো কোম্পানির অবদান ছিল ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এছাড়া ‘বি’ গ্রুপের অবদান ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ, ‘জেড’ গ্রুপের ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রুপের ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ অবদান ছিল।

গত সপ্তাহে ডিএসইর মূল বাজারে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ব্র্যাক ব্যাংক, নিটল ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স এবং লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।