সন্ত্রাসবাদী জেএমবির দাওয়াহ শাখার প্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দিনাজপুর সংবাদাদাতা: কুমুড়িয়া হাফিজিয়া মাদরাসার হেফজখানার শিক্ষক হাফেজ ওয়াহিদুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
এটিইউ জানিয়েছে, ওয়াহিদুল ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার দাওয়াহ শাখার অন্যতম প্রধান। শিক্ষকতার আড়ালে সে জেএমবির দাওয়াতি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো।

বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান।
তিনি বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর নীলফামারীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে জেএমবির পাঁচ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে নীলফামারী সদর থানায় মামলা হয়। পরে গ্রেফতারদের পুলিশ হেফাজতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের একটি গোয়েন্দা দল নীলফামারী ও দিনাজপুর অঞ্চলের সক্রিয় জেএমবি সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করতে থাকে। সেই অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১১ ডিসেম্বর এটিইউ নীলফামারী জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জেএমবির তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে এবং নীলফামারী সদর থানার ওই মামলায় আদালতে সোপর্দ করে।

এতে করে এলাকার সক্রিয় সদস্যরা ঢাকা এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। এটিইউর একটি গোয়েন্দা দল নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার মধ্যরাতে ঢাকায় আত্মগোপনে থাকা দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার দাওয়াহ বিভাগের অন্যতম প্রধান হাফেজ ওয়াহিদুল ইসলামকে গাবতলী আরিচা হাইওয়ের এসএস ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে গ্রেফতার করে।

মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, হাফেজ ওয়াহিদুল ইসলাম দিনাজপুরের খানাসামা থানাধীন মন্ডলের বাজার কুমুড়িয়া হাফিজিয়া মাদরাসার হেফজখানার হাফেজ শিক্ষক। শিক্ষকতার আড়ালে সে দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার জেএমবির দাওয়াহ শাখার অন্যতম প্রধান হিসেবে দাওয়াতি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো।

গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল সেট ও দুটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার হাফেজ ওয়াহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করবে এটিইউ।