শ্লীলতাহানির মামলায় এসআই রতন কারাগারে

ঢাকা: শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক ছাত্রীর দায়ের করা মামলায় রাজধানীর আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার হালদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রোববার (২০ মার্চ) রতন তার আইনজীবীর মাধ্যমে ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান।

শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সালেহ উদ্দিন আহেমদ জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিচার বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রতনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন একই ট্রাইব্যুনাল।

গত ০১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেছিলেন আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী।

ওইদিন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদ বাদিনীর অভিযোগ আমলে নিয়ে ঘটনাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মামলায় বলা হয়, বাদিনী গত ৩১ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে আশা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শেষে শ্যামলী রিংরোড থেকে রিকশাযোগে আদাবর থানার শিয়া মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। জাপান গার্ডেন সিটির পাশে রিকশার গতিরোধ করে আদাবর থানার এসআই রতন কুমার বাদিনীর ভ্যানিটি ব্যাগে ২০০ পিস ইয়াবা আছে এমন অভিযোগ করেন। এ সময় ওই এসআই বাদিনীর গায়ের জ্যাকেট এবং ব্যাগে তল্লাশি চালান। ব্যাগে কোনো ইয়াবা না পেয়ে এসআই রতন বাদিনীকে একটি দোকানে নিয়ে মালিককে বের করে দিয়ে তার শরীরে হাত দিয়ে  শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান এবং অনৈতিক প্রস্তাব দেন।

একপর্যায় ওই ছাত্রী বলেন, থানায় নিয়ে তল্লাসি করতে। কিন্তু এতে রাজি হননি রতন। তখন এসআই রতন ছাত্রীকে হুমকি দেন, আমার কাছে ওসি-ডিসি কিছুই না, কারও কাছে নালিশ করেও কোনো লাভ নেই।