শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত: নোট-গাইড নিষিদ্ধ, বৈধ হবে কোচিং

নিজস্ব প্রতিবেদক:  কোচিং সেন্টার চালানোর অনুমতি থাকলেও নোট-গাইড নিষিদ্ধ রেখে শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এ খসড়া পাঠানো হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। দীর্ঘ ১০ বছর পর শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে এর ধারায় তেমন পরিবর্তন আনা হয়নি।

কোচিং সেন্টার পরিচালনা সংক্রান্ত ধারায় বলা হয়েছে, সন্ধ্যার পর কোচিং সেন্টার চালানো যাবে। শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট টিউশনের মাধ্যমে পাঠদানের জন্য কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা নিষিদ্ধ গণ্য হবে না। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলাকালে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত কোচিং সেন্টার চালানো যাবে না। কেউ তা করলে ওই কোচিং সেন্টারের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল হবে। কোচিং সেন্টারে কোনো শিক্ষক তার নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাতে পারবেন না।

খসড়ায় আরো বলা হয়েছে, আইনে ড্রেস কোডের উল্লেখ থাকবে না। তবে পরে নীতিমালা বা পরিপত্রে ড্রেস কোড নির্ধারণ করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেছেন, খসড়ায় তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। আইনে না থাকলেও হয়, এমন দুটি বিষয় বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি শিক্ষার্থীদের ড্রেস কোড। খসড়া অনুযায়ী নোট-গাইড নিষিদ্ধ রাখার ধারাটি আগের মতোই আছে।’

শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ইন্টারনেট দেয়ার পরিকল্পনা:
দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে অনলাইনে শিক্ষা পদ্ধতিতে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে অনেক শিক্ষার্থীর ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে সরকার বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা বা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ দেয়া যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করছে সরকার।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির আয়োজনে বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে শিক্ষা বিষয়ে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে এসব বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট প্রদান অথবা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ দেয়া যায় কিনা সে বিষয়ে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সাথে আলোচনা চলছে। তিনি আশা করেন, মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময়ের টিউশন ফি প্রদানের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবক সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন একেবারে টিউশন ফি না দিলে প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষকদের বেতন দিতে পারবে না। তাই দুই পক্ষকেই কিছুটা ছাড় দিয়ে মানবিক হতে হবে।