লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে সূচকের বড় লাফ

লেনদেনে ধীরগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতে মূল্য সূচকের বড় উত্থান প্রবণতা দেখা দিয়েছে। লেনদেন শুরু হতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ৫০ পয়েন্টের উপরে বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে লেনদেনের গতিও রয়েছে বেশ ভালো অবস্থানে।

লকডাউনের গত মার্চে দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধস নামে। টানা ৬৬ দিন শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ রাখারও হয়। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম দায়িত্ব নেয়ার পর আবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়।

টানা বন্ধের পর শেয়ারবাজার চালু হলে প্রথমদিকে লেনদেন খরা দেখা দেয়। তবে দায়িত্ব নিয়ে বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় একের পর এক সিদ্ধান্ত নিতে থাকেন। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে শেয়ারবাজারে। ফলে দুই মাস ধরেই ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে শেয়ারবাজার। ৫০ কোটি টাকায় নেমে যাওয়া লেনদেন হাজার কোটি টাকায় উঠে এসেছে।

এ পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বেশকিছু কড়া বার্তা দেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।

তিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কেউ পুঁজিবাজারে কারসাজি করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের টাকা লুট করার সুযোগ পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএসইসির চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে ডিএসইর আইটিতে বড় ধরনের রিফর্ম করার কথা বলেন।

পাশাপাশি যেসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের টাকা নিয়ে ভালো পারফর্ম করতে পারছে না এবং গোপনে অফিস বন্ধ করে দিয়েছে সেইসব কোম্পানির পর্ষদ ভেঙে দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘যেসব পরিচালকের এককভাবে দুই শতাংশ শেয়ার নেই তাদের পরিচালক পদ ছাড়তেই হবে। শেয়ার ধারণের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর বিএসইসি থেকে চিঠি দিয়ে ওই পরিচালকদের পদ খালি করা হবে। যদি কোনো কোম্পানি এটা না করে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে পর্ষদ ভেঙে দেয়া হবে।’

নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের এমন বার্তার পর রোববার লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের আভাস মেলে। লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৬৭ পয়েন্ট বেড়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৪টির। আর ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩৭৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।